চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চলো শুনি ভাষাশহীদ ও বীরশ্রেষ্ঠদের গল্প

ভাষাশহীদদের গল্প বা বীরশ্রেষ্ঠদের গল্প আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তানরা
জানুক। কিন্তু সেটা সত্যি সত্যি তাদের জানাতে চাই, তাহলে তাদের মতো করেই
তাদের গল্পটা শোনানোর কোনো বিকল্প নেই।

শুধু ইতিহাস ওরা যেভাবে নিবে তার
সঙ্গে আনন্দদায়ক কিছু থাকলে পড়াটা তাদের কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

এমনই মন্তব্য ছোটদের উপযোগী করে ইতিহাসের লেখক রণজিৎ সরকারের। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত তার দুটি বই, ভাষাশহীদদের গল্প এবং বীরশ্রেষ্ঠদের গল্প।

রণজিৎ সরকার চ্যানেল অাই অনলাইনকে বলেন, দুটি বই-ই শিশুদের উদ্দেশ্যে লেখা। আমি চাই শিশুরা শুধু গল্প জানবেই না, তারা গল্পের মধ্যে দিয়ে কিছু শিখবেও। সেই প্রচেষ্টাই সবাই টের পাবেন এবারে প্রকাশিত বই দুটির মধ্যেও।

বই লেখকের কাছে সন্তানের মতো। সন্তান যেমনই হোক কেন তা যেমন পিতা-মাতার কাছে সমান হয় তেমনই সবগুলো বই-ই লেখকের কাছে সমান প্রিয়। তবুও আলাদা করে বলতে গেলে নিজের লেখা বইগুলোর মধ্যে প্রথম বই ‘স্কুল ছুটির পর’ এবং ‘ক্লাসরুমে যত কাণ্ড’ এই বইদুটিই বেশি প্রিয় এই লেখকের।

বলেন, আমি পাঠকের জন্য লিখি। তারা পড়ে খুশী হলেই আমার লেখালেখি স্বার্থক। একটি লেখার সঙ্গে কত কত কষ্ট, কতজনের শরীরের ঘাম থাকে তা শুধু বই প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই জানে।

তাই লেখক বলেন, বইয়ের ট্রেসিং বের করলেই মনে হয় বইটা ধীরে ধীরে হাতে পেয়ে যাচ্ছি। এ অব্দি মোট ২৭টি বই প্রকাশ হয়েছে আমার। তার মধ্যে বেশিরভাগই শিশুদের জন্য। আর এবছরে প্রকাশিত বই দুটি অনেক খেটেখুটে বানানো।

তাম্রলিপির প্রকাশক যখন আমাকে বইটির কথা বললেন, প্রথমে ভয়ই হচ্ছিলো, পরে সাহস করে দায়িত্ব নিয়েই ফেললাম। প্রায়শই অনেকটা সময় লেগে গেছে আমার। সঙ্গে অনেক তথ্যের জন্য ঘাঁটাঘাটি তো ছিলোই। সেখানে কখনো কখনো কাউকে ফোন করে জ্বালিয়েছি, আবার কখনো কখনো ইন্টারনেট ঘেঁটেছি। যাদের নিয়ে লিখেছি তাদের সবার জীবনী, বা তাদের সম্পর্কে যতসব তথ্য রয়েছে সব একটু একটু করে বের করে পড়াশোনা করেছি।

বই যখন লিখছি বই লিখা আরো চালিয়ে যাবো। তবে একজন লেখক হিসেবে পাঠকের কাছে একটাই চাওয়া, আপনারা বই কিনুন। আর বই পড়ুন। আমরা লেখকরা চাই, আমাদের বই পাঠককে যেন আলোর পথ দেখায়। কোনো ভুল পথ থেকে রক্ষা করে। এমনটাই বলেন লেখক রণজিৎ সরকার।

এরই মধ্যে অনেকগুলো বই লেখা হলেও নিজের একটি লেখা নিয়ে স্বপ্ন আঁকেন এই লেখক। বলেন, আমি আমার কোনো একটি লেখায় একেবারে গ্রামীন জীবনকে তুলে আনতে চাই। সেখানে গ্রামের মানুষদের দু:খ-দুর্দশা তাদের হাসি-আনন্দ তুলে ধরে জানাতে চাই পাঠককে।

এসময় দেশের সাহিত্য দেশের বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে অনুবাদ। সেদিকেই জোড় দেওয়ার দাবী এই লেখকের।

নিয়াজ চৌধুরীর তুলির আঁকা প্রচ্ছদে এবারের বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তাম্রলিপির স্টলে। প্রতিটি বইয়ের দাম রাখা হয়েছে ১৩৫ টাকা।