চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চলে গেলেন দিতি

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি মারা গেছেন।

রোববার বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসাপাতালে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত দিতি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

চ্যানেল আই অনলাইনকে এ খবর নিশ্চিত করে তার ছোট বোনের স্বামী শাহরুখ জামান জানান, বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহিম গুলজার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘রোববার দিতির প্রথম নামাজে জানাযা বাদ এশা গুলশান মসজিদে হওয়ার পর তার
মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল (সোমবার) তার মরদেহ
গুলশানের বাসভবনে নেওয়া হবে।’

‘এরপর তার নিজ গ্রাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ-এ দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

দীর্ঘদিন ভারতের চেন্নাইনের এমআইওটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেন দিতি। এরই মধ্যে একাধিবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

পারভীন সুলতানা দিতি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির সম্পৃক্ততা ঘটে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু।

এরপর দিতি প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ছবিতে দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথম বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। শতাধিক ছবির মধ্যে দিতির উল্লেখযোগ্য সিনেমা হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, স্নেহের প্রতিদান, শেষ উপহার, অপরাধী, কাল সকালে, মেঘের কোলে রোদ, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী, হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ, নয় নম্বর বিপদ সংকেত ইত্যাদি।

দিতির সর্বশেষ ছবি সুইট হার্ট মুক্তি পায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে।