আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলাটির তদন্তভার পুলিশের বিশেষজ্ঞ ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি এবং বাসটিও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়া থানা থেকে নথিপত্রসহ মামলার তদন্ত ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশের বিশেষজ্ঞ ইউনিট পিবিআইতে মামলাটির তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করছি জড়িতদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জে বাড়ি ফেরার জন্য আশুলিয়ার ইউনিক এলাকা থেকে বাবা আকবর আলী মন্ডল (৭২) ও মেয়ে জরিনা খাতুন (৪৫) টাঙ্গাইলগামী একটি বাসে উঠেন। বাসের মধ্যে অল্প কয়েকজন যাত্রী ছিল। বাসটি বিভিন্ন স্থান ঘুরে পুনরায় আশুলিয়ার দিকে চলে যায়। এভাবে ঘোরার কারণ জানতে চাইলে বাসের হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে বাসের চালক, সহযোগী ও সুপারভাইজার তাদেরকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এসময় চিত্কার করলে চলন্ত বাস থেকে বৃদ্ধ আকবার আলীকে আশুলিয়া ব্রিজের কাছে ফেলে দেয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে রাত ৯টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার মরাগাঙ এলাকার রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ জরিনা খাতুনের মরদেহটি উদ্ধার করে।
আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, নিহত নারী কালো রঙের বোরকা পরিহিত ছিলেন। তার শরীরে কোনো ক্ষত না থাকলেও গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় নিহত জরিনার মেয়ের জামাই নূর ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।