ভারতের উত্তর প্রদেশে স্কুলবাসে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় এখন পর্যন্ত ১৩ স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ৮ জন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে রাজ্যের খুশিনগর জেলায় গার্ডবিহীন একটি রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্কুলবাসে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দুধি এলাকার এ ক্রসিংটি খুশিনগর শহরের কাছে এবং গোরখপুর শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বদিকে। ডিভাইন পাবলিক স্কুলের বাসটি ২৫ জনের মতো শিশু নিয়ে গোরখপুর থেকে সিওয়ানের দিকে যাচ্ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় রেললাইনের ওপর গাড়িটি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল বা খুব ধীরে পেরোচ্ছিল। ওই সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি রেলগাড়ির ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায় স্কুলবাসটি।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৩ শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থাই গুরুতর।
আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঘটনা পর্যবেক্ষণে তদন্তের জন্য গোরখপুরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দুর্ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি।
‘আমাকে বলা হয়েছে, স্কুলবাসের চালক গাড়ি চালানোর সময় কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রেখেছিলেন… সেক্ষেত্রে এটা পুরোপুরিই একটি গাফিলতির ঘটনা,’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
গত ৯ এপ্রিল হিমাচল প্রদেশে একটি স্কুলবাস ১০০ মিটার গভীর গিরিসঙ্কটে পড়ে ২৩ শিশু ও চার অভিভাবক নিহতের পর এটি দ্বিতীয় স্কুল বাস দুর্ঘটনার ঘটনা।