নতুন কোনো জটিলতা না হলে চলতি মাস থেকে আবারো মালয়েশিয়ায় যেতে শুরু করবে বাংলাদেশী শ্রমিকরা। এবার জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে নেয়া শ্রমিকদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করবে মালয়েশিয়া সরকার।
বাংলাদেশ হাইকমিশন মনে করছে, এতে বাংলাদেশী দক্ষ শ্রমিকরা প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁয়ের কাঠমিস্ত্রি মনসুরের মতো দালালদের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়ায় গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে কেউ দেশে ফিরে গেছেন কেউবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এখানে ওখানে। এতোদিন স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়াতে বৈধ পথে শ্রমিক নেয়া বন্ধ থাকায় নানা পথ দিয়ে সেখানে যেতেন বাংলাদেশিরা।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার সোর্স কান্ট্রি হিসাবে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করলে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। প্লান্টেশন, এগ্রিকালচার, ম্যানুফ্যাকচারিং, কনস্ট্রাকশনসহ ৫টি খাতে শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের অনুকূলে যেসব চাহিদাপত্র ইস্যু করেছে, তাতে ৩ বছর কাজের সুযোগ রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য অনলাইনে পুরো কার্যক্রম মনিটর করবে মালয়েশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সোর্স কান্ট্রি হিসাবে ১৪টি দেশের নামের পাশে বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
কি পরিমাণ বাংলাদেশী শ্রমিক মালয়েশিয়া আসার সুযোগ পাবেন তা নিশ্চিত না হলেও দূতাবাসের কর্মকর্তারা আশা করেছেন, প্রতিবছর প্রায় তিন লাখ শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে মালয়েশিয়া।
বিস্তারিত ভিডিও রিপোর্টে।
https://www.youtube.com/watch?v=o0y7YOgMtH0&feature=youtu.be