চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চলচ্চিত্র বাঁচানোই হবে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা: শাকিব খান

করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলা সিনেমার ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবছেন শাকিব খান?

করোনাভাইরাসে দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে ধ্বস নেমেছে। অনেকেই চলচ্চিত্রের অস্তিত্ব টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তবে এ অবস্থায় নিরাপদে থেকে এবং সঠিকভাবে মোকাবিলা করে চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান।

চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে এই চিত্রতারকা বলেন, ‘চলচ্চিত্রে আবার এক বিপ্লব ঘটাতে হবে।’

সরকারি তথ্যমতে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এ সংক্রমণ বাড়তে থাকতে। বাধ্য হয়েই সব ধরনের শুটিং ও ১৮ মার্চ থেকে সিনেমা হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সব লকডাউনে থাকলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।

এ অবস্থায় দেশের অন্যান্য সেক্টরের চেয়ে চলচ্চিত্রে তুলনামূলক বেশি প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। চলচ্চিত্রে সার্বিক ক্ষতির চিত্র স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে করোনা পরবর্তী সময়ে! আর সেই সময়েও গত এক যুগের মতো চলচ্চিত্রের কাণ্ডারি হয়ে লড়ে যেতে চান ঢালিউডের এ শীর্ষ তারকা।

শাকিব খান বলেন, করোনার মধ্যে আমি আমার মতো করে আগামির কাজের জন্য সবকিছু গোছাচ্ছি, পরিকল্পনা করছি। দেশের বাইরে ফ্রেন্ডস সার্কেল আছে, কিছু মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি আছে তাদের নিয়ে আমি ভালো কাজের চেষ্টায় আছি। আমার এ সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে শুধুমাত্র চলচ্চিত্রকে বাঁচানো। সেখানে ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, গল্প, ডিওপি, টেকনিশিয়ান কমবেশি কাজে ব্যস্ত থাকবে।

তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে হলিউড বলিউড থেকে পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রির সিনেমায় পরিবর্তন আসবে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেও ব্যতিক্রম কিছু ঘটবে না। করোনার পর আমি আমার মতো করে কাজ করে যাবো। বাংলা সিনেমাকে বাঁচানোর জন্য আবার একটা বিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা থাকবে। দরকার হলে আগের মতো বেশি বেশি সিনেমা করবো। তবে সেগুলো হবে মানসম্মত।

তিনি আরও বলেন, আর এ জন্য আমি কাউকেই আমাকে দিয়ে কাজের জন্য বা আমার পারিশ্রমিক কমানোর কোনো কথাই বলিনি। কে আমাকে কত টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে সিনেমা করাবে তারচেয়ে বড় কথা হলো আমি নিজে আদৌ তাদের সঙ্গে কাজ করবো কিনা সেটা বড় ব্যাপার। আমার নিজের প্রোডাকশন হাউজ আছে। তাছাড়া আমার সঙ্গে সবকিছু ব্যাটে-বলে টাইমিং হতে হবে!

শাকিব খান আরও বলেন, বাংলা সিনেমা টেকাতে গেলে অনেক কাজ করতে হবে সামনে। একটা সিনেমার সঙ্গে শত শত পরিবার জড়িত থাকে। কাজ বেশি হলে কম টাকা পেলেও ওইসব পরিবারগুলো ভালো থাকবে। আমার আগামি কাজের মধ্যে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া মিলিয়ে সিনেমা থাকবে। দেশের সিনেমাগুলো অল্প বাজেটের গল্পনির্ভর সিনেমা থাকবে।

তিনি বলেন, এ সেক্টরের কিছু মানুষ কাজ না পেয়ে যেন ভিক্ষাবৃত্তির দিকে ঝুঁকে না যায় সেজন্য তাদের যতটা সম্ভব কাজে রাখা নিশ্চিত করবো। ইন্ডাস্ট্রির সম্মানিত মধ্যবিত্ত মানুষ আছেন, তারা ৫-১০ কেজি করে ত্রাণ নেয়ার জন্য সামনেই আসতে চাইবেন না। তাদের সম্মান নিয়ে বাঁচতে হলে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। আর আমি সেটাই নিশ্চিত করবো।