চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চর চটকি মারায় আধুনিক কিল্লা স্থাপনে রক্ষা পেল কয়েকশত মহিষ

ভোলা সদর উপজেলার চর চটকি মারায় আধুনিক কিল্লা স্থাপন করায় কয়েকশ মহিষ রক্ষা পেয়েছে। এতে করে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে সৃষ্ট পরবর্তী বন্যায় খামারিদের মহিষের নিরাপত্তার পাশাপাশি রাখালদের নিরাপত্তা প্রদানে সক্ষম হয়েছে।

চরে নির্মিত কিল্লা ভূমি থেকে ৭ফুট উচ্চতায় হওয়ায় বন্যার পানি কিল্লাটিতে প্রবেশ করতে পারেনি, ফলে খামারিদের মহিষ এই বন্যায় ছিল সম্পূর্ণ নিরাপদ। পাশাপাশি এই আধুনিক কিল্লায় রাখালদের জন্য রয়েছে নিরাপদ বাসস্থান, সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রয়েছে কম্পোস্ট পিট। প্রতিবছর বন্যার পাশাপাশি বজ্রপাতেও অনেক মহিষ মারা যায় বলে উক্ত প্রজেক্ট এর আওতায় নির্মিত আধুনিক এই কিল্লায় থাকছে বজ্র নিরোধক দণ্ড।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ভোলা জেলায় মহিষের পরিবেশগত ও টেকসই উন্নয়নে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কাজ করছে ভোলার ঐতিহ্যবাহী সংস্থা, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস)।

চর চটকি মারার মহিষ খামারী নাজিম উদ্দিন, আলা আমিন, হানিফ হাওলাদার ও নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘুর্ণিঝর ইয়াসের সময় পানির উচ্চতা বৃদ্ধিপেলেও আমরা আমাদের মহিষগুলো এই কিল্লায় নিরাপদে রাখতে পেরেছি। আমাদের মহিষ ভেসে যায়নি, পাশাপাশি আমরাও এই কিল্লায় নিরাপদ আশ্রয় নিতে পেরেছি। এর আগে আমাদের কোনো আধুনিক কিল্লা ছিল না, বন্যার সময় আমাদের মহিষ ভেসে যেত, অনেক আর্থিক ক্ষতি হতো। চরে আমাদের জন্য কোন নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যকর পায়খানার ব্যবস্থা ছিলনা, কিন্তু এই প্রজেক্ট থেকে আমাদের যে এই আধুনিক কিল্লাটি দেয়া হয়েছে তাতে আমরা এই সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি।’

প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত খামারিদের পাশাপাশি অন্যান্য খামারিরাও এই বন্যার সময় তাদের মহিষগুলো কিল্লায় রাখতে পেরে অনেক দুশ্চিন্তামুক্ত ছিলো বলে জানালেন তারা।

গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার উপ-পরিচালক ডা. মোঃ খলিলুর রহমান জানান, এখন মনে হচ্ছে যে আমরা সত্যিই উপকূলীয় এলাকার মহিষের জন্য ভাল একটা কাজ করতে পেরেছি।

গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন জানান, আরো কয়েকটি চরে আধুনিক কিল্লার নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। যাতে করে মহিষ খামারীরা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং রাখালরাও নিরাপদ থাকতে পারে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।

এসব কিল্লায় সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর মাধ্যমে ভোলা জেলার সম্ভাবনাময় এই মহিষ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার এসইপি প্রকল্প ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেল