একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক হেভিওয়েট নেতার বাদ পড়ার বিষয়কে তাৎক্ষণিকভাবে চমক হিসেবে দেখা হলেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন: শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কারণেই তারা বাদ পড়েছিলেন।
বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল কাদের।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রশ্ন ছিল: ক্যাসিনো কাণ্ডে তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে অনেকের নাম গণমাধ্যমে এলেও তাদের বিরুদ্ধে এখন কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? এদের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা?
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন: সাংগঠনিক ব্যবস্থা নানাভাবে নেওয়া হয়। ধরেন, একজন দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তিনি পদ হারাতেও পারেন। সেটাও তো এক ধরনের শাস্তি। এ ধরনের শাস্তি তো গত নির্বাচনে মনোনয়ন এবং মন্ত্রিসভা গঠনের মধ্যদিয়ে অনেকে পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন: শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তো শুধু দল থেকে বের করে দেওয়া নয়, পদ থেকে অব্যহতি দেওয়াও একটি শাস্তি। পদাবনতিও একটি শাস্তি, সেটাও হতে পারে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এবার নির্বাহী কমিটি সাজানো হবে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই নেতৃত্বে তো কিছু পরিবর্তন আসবেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে চমক দেখায় ক্ষমতাসীনরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের মন্ত্রী সভায় এবার ৩১ জনই নতুন মুখ।
এই মন্ত্রিসভায় স্থান হারান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান নুর ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার মতো হেভিওয়েট নেতারা।