প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রধান দুই দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাশাপাশি কিছু পৌরসভায় জাতীয় পার্টি, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। সরকারের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও বিএনপি প্রার্থীদের শঙ্কা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৪টি ও উত্তর চট্টগ্রামে ৬টি নিয়ে মোট ১০টি পৌরসভা সভা চট্টগ্রাম জেলায়। রোববার সকালে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নেমে পড়েন ভোট প্রার্থনায়। অলি গলি চষে বেড়ানোর শুরু। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় প্রতিটি পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী রয়েছে।
কয়েকটি আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছে। দীর্ঘসময় নির্বাচনী দৌঁড় থেকে দূরে থাকা বিএনপি প্রার্থীরা স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারছেন।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৌহিদুল আলম বলেন, জনগণের বিপুল সাড়া পাচ্ছি। তবে শংকায় আছি। মানুষের ভোটের অধিকার যে সরকার কেড়ে নিয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রস্তুত এখানকার জনগণ।
সরকারে শরিক হলেও চট্টগ্রামে কয়েকটি পৌরসভায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রামের প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা পটিয়ায় জাতীয় পার্টিও আশাবাদী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম মাস্টার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন,আমি দু’বার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি যে কাজ করেছি সে কাজেই জনগণ আমাকে জয় করবে।
তবে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন ও প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে উন্নয়নের কথাই বেশি বলছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যাপক হারুনর রশিদ বলেন, জনগণের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছি। কিছু অসমাপ্ত কাজ রয়ে গেছে জনগণ যদি আমাকে ভোট দেয় তাহলে এই কাজগুলো আমি সম্পন্ন করবো।
সব মিলিয়ে দেশের প্রধান দুই দল দীর্ঘ সময় পর আবারো ভোট যুদ্ধে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। পৌর নির্বাচন তাই স্থানীয় হলেও জাতীয় নির্বাচনের আমেজ দিচ্ছে পৌর নাগরিকদের।