তিন সিটির নির্বাচনে মূল প্রার্থীদের সকলেই নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি। তাদের রিপোর্টে বলা হয়, দলীয় সমর্থন পেতে চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থীরা ২০ লাখ থেকে ৭ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন।
তবে ঢাকায় এরকম মনোনয়ন বেচাকেনা হয়নি। আর নির্বাচনে বিএনপির চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহসই ছিলোনা বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ নিয়ে নির্বাচনের তিন সপ্তাহের মাথায় রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টিআইবি। সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয়সীমা বেশি লঙ্ঘন করেছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দলের বিশেষ ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের অথবা দলের সমর্থন পাবার জন্য অর্থ ব্যয় করার সত্যতা পেয়েছে টিআইবি। তবে এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে সমর্থন লাভের জন্য অর্থ লেনদেনের বিরাট ঘটনা না ঘটলেও চট্টগ্রামে লেনদেন হয়েছে ব্যাপকভাবে।
তাই সিটি নির্বাচনকে নির্বাচন বলে মানতে নারাজ তিনি। নির্বাচনকে অরাজকতার হাত থেকে মুক্ত করতে হলে আগামীতে ইভিএম ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই বলেও জানান ইফতেখারুজ্জামান।
তিন সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের চরিত্র দেখে টিআইবির ট্রাস্টি এবং সাবেক সিইসি ডক্টর শামসুল হুদা বলেছেন, আগামীতে ইসিকে আরো মানসম্মতভাবে নির্বাচন করতে হবে।
প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ না করলে দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৯ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সাবেক এই সিইসি।