চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডিতে দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে দুই জনের মৃত্যুর পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ৭ জনের মধ্যে আরো দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার মৃত্যু হওয়া দুই জনের মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই দুজনের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা।
শ্রমজীবী মৃত আনোয়ার হোসেন পুরান ঢাকায় রিক্সা চালাতেন। চার সন্তানের এই জনককে দাফনের জন্য নেয়া হয় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে। আনোয়ার হোসেনের মরদেহ বুঝে নেয়ার সময় মায়ের সাথে ছিল দুই সন্তান ৬ ও ৭ বছরের আয়ান-আরফান। বাবার মরদেহ যখন বুঝিয়ে দিচ্ছিল কর্তৃপক্ষ তখন দুই শিশুর কান্নায় শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েন অন্যরাও।
মৃত আরেকজন ২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সোহাগ ছিলেন পরিবারের উপার্জনের সহায়তাকারী। তারই রোজগারের টাকায় লেখাপড়া চালাতো তার মেজ ভাই রুহুল আমিন। একেতো ছোট ছেলে হারানোর শোক তারপর আরেক ছেলের লেখাপড়া কিভাবে চলবে সেই চিন্তায় পাথর মা বেদানা বেগম।
সাড়ে তিন বছরের নুরজাহান প্রিয় বাবা মোজাম্মেল হকের জন্য অপেক্ষায় বার্ন ইউনিটের আইসিইউ’র সামনে। স্বামীর জন্য তার মা যখন চরম উৎকন্ঠায় তখন কোলের এই সন্তান মায়ের চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে রাখে পরম মমতায়।
আরেক বোন আইসিইউ’র সামনে অপেক্ষায় তার ভাইয়ের জন্য। ঘটনার দিন চুড়িহাট্টার রাস্তায় তার ভাই দগ্ধ হন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৭ জন দগ্ধের ৪ জনের অবস্থাই ভালো না। এদের ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরই মধ্যে আজ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বার্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন। ১৪ দলের মুখপাত্র সিটি কপোরেশেনের বেধে দেয়া ৩ মাসের মধ্যে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের কাছে আহ্বান জানান।
বিস্তারিত ভিডিও রিপোর্টে: