অবশেষে পিছিয়ে না থেকে সাউথ কোরিয়ার সঙ্গে সময় মিলিয়ে নিলো নর্থ কোরিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার ঠিক রাত সাড়ে ১১টায় দেশের সবগুলো ঘড়ির কাঁটা আধঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে রাত ১২টা করে দেয়া হয়।
এই টাইম জোন পুনর্নির্ধারণ কোরীয় একীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে ‘প্রথম বাস্তবায়িত পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
এতদিন পর্যন্ত নর্থ কোরিয়া সাউথ কোরিয়া ও জাপানের চেয়ে আধঘণ্টা পিছিয়ে ছিল। কোরীয় উপদ্বীপে শাসন কায়েমের পর জাপান টোকিওর সঙ্গে সময় মেলাতে পুরো অঞ্চলের সময় পাল্টে দেয়।
কিন্তু জাপানের শাসন থেকে বেরিয়ে আসার পর নর্থ কোরিয়া সাথে সাথেই তাদের টাইম জোন পাল্টে আবার আগে আধঘণ্টা পেছানো টাইম জোনে ফিরে যায়। এর কারণ হিসেবে ২০১৫ সালে বলা হয়েছিল, ‘পাপিষ্ঠ জাপানি সাম্রাজ্যবাদী’দের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতেই ঘড়ির কাঁটা আগের সময়ে পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছিল নর্থ কোরিয়া।
জাপানি শাসন থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৫০-এর দশকে সাউথ কোরিয়াও তাদের টাইম জোন পিছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ৬০-এর দশকে আবার তারা জাপানের সময়ে ফিরে যায়।
তখন থেকেই নর্থ আর সাউথে ৩০ মিনিটের সময় ব্যবধান।
গত ২৭ এপ্রিল আন্তঃকোরীয় বৈঠকের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ ৬৫ বছর পর কোনো নর্থ কোরীয় নেতা পা রাখেন সাউথ কোরিয়ায়। দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী সীমান্ত রেখার কাছে পানমুনজামের ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজেড)-এ নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন বৈঠক করেন।
ডিএমজেড-এর দেয়ালে পাশাপাশি দু’টো ঘড়িতে দুই কোরিয়ার স্থানীয় সময় দেখানো থাকে। সেই ঐতিহাসিক আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট মুন এক টুইটবার্তায় বলেন, কিম ঘড়ি দু’টো দেখে খুব বিমর্ষ হয়ে গিয়েছিলেন। আর তখনই জানিয়েছিলেন, শিগগিরই নর্থ ও সাউথ কোরিয়ায় ঘড়ির কাঁটা একই সাথে ঘুরবে।