লঘুচাপের কারণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মহা’র এখন পর্যন্ত যে গতিবিধি, তাতে বাংলাদেশের তার কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অফিস।
তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাটের একটা বড় অংশ জুড়ে মহা’র কারণে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার ভারতে আঘাত হানার কথা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।
আবাহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক মঙ্গলবার সকালে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘মহা’র প্রভাবে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি বা কম এবং বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেড়ে যাওয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় ছোটখাটো কিছু প্রভাব থাকতে পারে।’
তবে সেই ঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে তেমনভাবে না পড়লেও আবহাওয়া অফিস বলছে: বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ আকারে ১৩.১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবস্থান করছে।
তা মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬০ কিলোমিটার দক্ষিনে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ জন্য নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকট সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্র সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।