চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে ১১ জন নিহত

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

শনিবার ভোর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঝড়ে ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে এক শিশু নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন।

নিহত শিশুর নাম ইসমাইল হোসেন (২)। তার পিতার নাম আবদুর রহমান।এছাড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ১ জন ও নেত্রকোনায় ২ জন ও বাগেরহাটে ঘর চাপায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আবদুল হালিমের মেয়ে নুরুন্নাহার (৩০), একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর (১৭), মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), একই উপজেলার কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬)।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে দেশের দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রা বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় ১৯ জেলার সাড়ে ১২ লাখ লোক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।