ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর ফলে উত্তাল হয়ে উঠছে পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে জেলার ৩শ’ ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১শ’ ৩টি মেডিকেল টিম গঠনসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করার পর থেকেই উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ নিয়ে চলছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো তীরে ফিরতে শুরু করেছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে দুর্গত এলাকা থেকে যাতে মানুষকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া যায় সেজন্য সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।
দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার মজুত করাসহ প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ সংগ্রহে রাখা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিন।
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকলেও ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে যেন আঘাত না হানে এমনটাই প্রত্যাশা উপকূলবাসীর।