চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে একমাস সময় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত আবরারের ঘাতক বাস চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে এক মাস সময় চেয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা প্রগতি সরণিতে ফিরে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব কথা বলেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তৌহিদুজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সুপ্রভাত বাস চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানিয়েছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদের জানিয়েছেন ঘাতক বাস চালক গ্রেপ্তারের পর থেকে ৭ দিনের রিমান্ডে আছে। রিমান্ড শেষ হওয়ার আগে আইনে ৩০২ ধারায় ফাঁসি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তৌহিদুজ্জামান বলেন, সর্বোচ্চ শাস্তি খুব দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের আশ্বাসে আমরা সুনির্দিষ্ট সময় চাই। তখন তারা এক মাসের সময় নেন।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৭ দিন রিমান্ড শেষ করে ৮ম দিনে ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য চার্জশিট তৈরি এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবির প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, ৩০ দিন মধ্যে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এবং কলেজের সামনে যাতায়তের জন্য ফুটওভারব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, ড্রাইভারদের লাইসেন্স যাচাই এবং নিরাপদ সড়কের জন্য যে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন দরকার তার কর্ম নির্ধারণ করা হবে।

তৌহিদুজ্জামান আরো জানান, ডিএমপি কমিশনার আমাদের বলেছেন রাস্তায় যদি সুপ্রভাত এবং জাবালে নূর চলাচল করতে দেখা যায় তাহলে যেনো গাড়ির চাবি শিক্ষার্থীদের জব্দ করে তার কাছে হস্তান্তর করে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সুপ্রভাত ও জাবালে নূরের রুট পারমিট পুরোপুরি বাতিল চেয়েছিলাম, কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে রাজধানীতে এই দুই গাড়ির দুইশ’র বেশি সংখ্যায় আছে এবং গাড়িগুলোর মালিক একাধিক। ওই মালিকের অধীনের বাস চালকসহ সহকারীরা কাজ করে। ফলে একই কোম্পানির একটি গাড়ি যদি দুর্ঘটনায় পতিত হয় সেক্ষেত্রে ওই কোম্পানির আরেক মালিক কেন এর দায় নিবে। পরে যদি অন্য মালিকরা হাইকোর্টে রিট করে তাহলে বিষয়টি হালকা হয়ে যাবে। আসামিরাও জামিনে বের হতে পারবে। তাই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য গাড়িগুলোর রুট পারমিট পুরোপুরি বাতিল করা যাবে না। তবে আপাতত তাদের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে।

তৌহিদুজ্জামান বলেন, আমরা আগামী ২৮ মার্চ বেলা ১১টায় আবার মেয়রের সঙ্গে বসবো বিষয়গুলোর ফলোআপ নিয়ে। যদি দেখি ফলোআপ ঠিকমতো গৃহীত হয়নি তাহলে ২৯ মার্চ সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হবে। রাজধানী ঢাকা বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হবে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ভাটারার প্রগতি সরণি এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাস চাপায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)’র ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।

এরপর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার দ্বিতীয় দ্বিতীয় দিনের মতো চলে তাদের কর্মসূচি। তবে বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।