এক লিওনেল মেসির যন্ত্রণায় অস্থির ডিফেন্ডার-গোলরক্ষকরা। সেই যন্ত্রণা বাড়াতে আরেক মেসি জন্ম দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়ে চমক জাগিয়েছেন আর্কাডি নাভারো। ইউরোপিয়ান জেনোমস আর্কাইভের প্রধান ও জেনেটিক বিজ্ঞানী নাভারোর মত, চাইলেই ক্লোন করে আরেকজন মেসির জন্ম দেয়া খুবই সম্ভব। ক্লোন করা সেই মেসির সঙ্গে আসল মেসির কোনো পার্থক্য থাকবে না বলেও ধারণা এই বিজ্ঞানীর!
৩১ বছর বয়সেও গোলবন্যা বইয়ে চলেছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। চলতি মৌসুমে ৩৯ গোল করে ফেলেছেন। আর একটি গোল হলেই টানা ১০ মৌসুমে ৪০ বা তার বেশি গোল করার কীর্তি হয়ে যাবে। লা লিগায় ২৬ গোল করে গোল্ডেন শু জেতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে এলএমটেন।
গোল করে একইসঙ্গে ভক্তদের আফসোসও বাড়িয়ে চলেছেন মেসি। বয়স দিন দিন বাড়ছেই। অতিমানবীয় কিছু হলে সর্বোচ্চ আর চার থেকে পাঁচ মৌসুম তার পারফরম্যান্স দেখতে পাবেন দর্শকরা। এরপর কী হবে? আরেকজন মেসির জন্য কতদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে ভক্তদের?
জবাবে নাভারো এক সাক্ষাৎকারে যা বলেছেন সেটি নিয়ে আশাবাদী হতেই পারেন মেসি ভক্তরা, ‘আমরা মেসির হুবহু একজন তৈরি করতে পারবো। তার বর্তমান খেলার যে ধরণ, সেই ক্লোনও ঠিক তেমনই থাকবে। দেখলে মনে হবে যেন দুজনে যমজ ভাই।’
‘যদি আমরা যমজ তৈরি করতে পারি তাহলে একজনকে হিমাগারে সংরক্ষণ করা হবে। তাহলে আমরা প্রতি ২০-৩০ বছর পরপর একজন মেসিকে মাঠে দেখতে পাবো। সবকিছু ঠিক থাকলে সেই মেসিও আসল মেসির মতোই হবে।’
মেসির মতো খেললেও বার্সেলোনার মেসি হতে পারবে কিনা ওই ক্লোন সে বিষয়ে অবশ্য কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না নাভারো, ‘জেনেটিক্স আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে। ক্লোন মেসি হয়তো আসল মেসির সমস্ত গুনাগুণ নিয়ে জন্মাবে। কিন্তু দিন শেষে মেসির ফুটবলীয় ক্ষমতা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।’
‘একটা বিষয় সম্পূর্ণ পরিষ্কার, জীনগতভাবে হয়তো সমস্ত গুণ থাকবে। তবে শিক্ষাগত, অবস্থা ও পরিবেশেরও একটা ব্যাপার কাজ করে। মেসি হল মেসি। জেনেটিক্সের কারণে আজ সে এপর্যায়ে এমনটা মোটেও বলা যাবে না। সে প্রকৃতি প্রদত্ত, বেড়ে উঠেছে লা মাসিয়ায়। আর হ্যাঁ, তাকে কিন্তু বড় হয়ে ওঠার জন্য হরমোনের চিকিৎসাও নিতে হয়েছে।’