এখন চারিদিকে প্রচুর মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। যেহেতু ছোঁয়াচে, তাই একজনের হলে বাড়ির অন্যরাও আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন খুব দ্রুত। তাই সাবধান হওয়া জরুরী। বিশেষ করে শিশুদের এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা জরুরী। জেনে নিন বাড়িতে কারও ফ্লু হলে অন্যদের নিরাপদ রাখার জন্য কী করা উচিত সেই সম্পর্কে।
বিছানার চাদর বদলানো: ঘরে কারও ফ্লু হলে অবশ্যই সুস্থ হওয়ার পর বিছানার চাদর বদলে দেয়া জরুরী। শুধু ফ্লু নয়, সাধারণ সর্দি-কাশি হলেও সেরে ওঠার পর বিছানার চাদর বদলে ফেলা উচিত। কারণ চাদরে অনেক জীবাণু আটকে থাকে।
ডোর নব ও লাইট সুইচ: ঘরের ডোরনব এবং লাইট সুইচ যেহেতু সবাই ব্যবহার করেন, সেহেতু এগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা উচিত। না হলে আঙ্গুলের মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তির থেকে ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। তাই ভালো মানের ক্লিনার ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করে রাখতে হবে এগুলো।
টাওয়েল: একজনের টাওয়েল আরেকজন ব্যবহার করা উচিত নয় কখনোই। এমনকি সাধারণ সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হলেও নয়। কারণ টাওয়েলে জীবাণুর দীর্ঘদিন বেচে থাকার সম্ভাবনা থাকে। অসুস্থ ব্যক্তিটি সুস্থ হওয়ার পরে তার টাওয়েল গরম পানি এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
মগ ও গ্লাস: যারা শাওয়ারে গোসল না করে মগ দিয়ে পানি ঢেলে গোসল করেন তাদের সাবধান থাকা জরুরী। মগের হ্যান্ডেলে লেগে থাকতে পারে ভাইরাল। তাই অসুস্থ ব্যক্তিকে আলাদা মগ ব্যবহার করতে দিন। আর একই গ্লাসে পানি খাওয়া উচিত নয়। বাড়ির প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গ্লাস ব্যবহার করা উচিত।
কলম, পেনসিল, রিমোট: ঘরের রিমোট সবার হাতে যায়, জীবাণুও তাই বেশী থাকে। ডিসইনফেকটিং ক্লিনার দিয়ে তাই নিয়মিত রিমোট পরিষ্কার করা উচিত। আর রিমোট ধরার পরে ১৫/২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেয়া ভালো। এছাড়াও অসুস্থ ব্যক্তির কলম কিংবা পেনসিল ব্যবহারের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে।
টুথব্রাশ হোল্ডার: টুথব্রাশের যদি ক্যাপও থাকে তাও জীবাণু ছড়াতে পারে। একই হোল্ডারে সব টুথব্রাশ থাকায় একটি থেকে অপরটিতে জীবাণু ছড়ায়। তাই অসুস্থ ব্যক্তির টুথব্রাশ আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। টাইমস অব ইন্ডিয়া