গ্যাস লাইনের লিকেজ সারাতে তিতাস কর্তৃপক্ষের ঘুষ দাবির পর ২৫ হাজার টাকা দিতে রাজি হয় নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা মসজিদ কমিটি। কিন্তু সেই ‘অল্প পরিমাণ’ টাকার প্রস্তাব মানেনি তিতাস- এমন অভিযোগ করে কমিটির সভাপতি বলেছেন, তারা ঘটনার বিচার চান।
তবে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, সত্যতা পাওয়া গেলে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কমিটিও এর দায় এড়াতে পারে না।
নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদ নোংরা পানি আর ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত। এই মসজিদটির চারপাশে এখন হাজারো মানুষের আনাগোনা। বিভিন্ন সংস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মসজিদের ভেতরে করছে নানা পরীক্ষা নিরিক্ষা।
এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে উড়ছে কালো পতাকা। স্বজন হারানো মানুষদের বাড়িতে এখানো থামেনি কান্না। শোকে স্তব্ধ পুরো এলাকা।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর বলেছেন, শেষ কয়েক দিন গ্যাস বের হচ্ছিল অনেক বেশি। সরকারি সংস্থাকে বাড়তি কিছু অর্থ দিতেও রাজি ছিলেন তারা। তবে অর্থের পরিমাণ বেশি হওয়াতে তা আর সম্ভব হয়নি।
মসজিদ কমিটির অন্য এক সদস্যও বললেন একই কথা।
ঘটনার দিন বেঁচে যাওয়া এই ব্যক্তি বলছেন, নামাজের সিজদায় যাওয়ার সময় প্রায়ই গ্যাসের কড়া গন্ধ পেতেন মুসল্লিরা। ঘটনার দিন বিদ্যুতের একটি লাইন চলে যাওয়ার পর অন্য একটি বিদ্যুৎ লাইনের সুইচ অন করা মাত্রই ঘটে বিস্ফোরণ।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মোঃ আল মামুন বলেছেন, কারোই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা তার। তবে মসজিদ কমিটিকের কাণ্ডজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।