যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সংখ্যাক স্পর্শকাতর নথি ভাইরালের মধ্যদিয়ে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব মিডিয়ায় আসেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। অ্যাসাঞ্জ প্রতিষ্ঠিত উইকিলিকস কর্তৃক ফাঁসকৃত ওই সকল তথ্যের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছিলো বিশ্বের এই সুপার পাওয়ারকে।
এরপরই, সুইডেনের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের পুলিশ ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে। নয় দিন পর কঠিন কয়েকটি শর্তে জামিন পান তিনি।
পাসপোর্ট জমা রেখে দিনরাত গোড়ালিতে ইলেকট্রনিক ট্যাগ পরা অবস্থায় এক বন্ধুর বাড়িতে থাকার এবং প্রতিদিন থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
অ্যাসাঞ্জ উচ্চ আদালতে গেলেও তাকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তরের পক্ষে রায় আসে। ওই অবস্থায় ২০১২ সালের ১৯ জুন লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে ঢুকে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ।
তার আহ্বানেই ২০১৪ সালে জাতিসংঘ প্যানেল বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। অ্যাসাঞ্জ দাবি করে আসছেন, জাতিসংঘ প্যানেলের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে গেলে পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
অবশ্য বুধবার এক টুইটে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জাতিসংঘ প্যানেলের বৈধতা পেলে শুক্রবারই তিনি ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা দিতে পারেন। অ্যাসাঞ্জকে সত্যিই অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে মনে করলে প্যানেল তার মুক্তির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলতে পারে।
তবে যুক্তরাজ্য সরকারের তা মেনে চলার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে নেওয়া হলেও ধর্ষণের আরেকটি মামলা তদন্তাধীন।
তার বিরুদ্ধে জারি করা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও বহাল রয়েছে। সুতরাং ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আভাস দিয়ে রেখেছে লন্ডনের পুলিশ।