ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ ‘এফ’র নকআউটের হিসাব-কিতাব শেষ হয়েছে। গ্রুপসেরা হয়ে পরের পর্বে গেছে এমবাপে-গ্রিজম্যানের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, সেরা ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে টেবিলে রানার্সআপ জার্মানি, যারা রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল।
টেবিলের তিনে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালেরও সুযোগ আছে নকআউটের, তাদের অপেক্ষা করতে হবে অন্য গ্রুপগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে।
গ্রুপ ‘এফ’র শেষ রাউন্ডে পর্তুগালের সঙ্গে ২-২তে ড্র করে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট ঘরে তুলে গ্রুপের সেরা হয়ে ষোলোয় গেল ফ্রেঞ্চরা।
শেষ রাউন্ডে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে জার্মানি। একটি করে জয়, ড্র ও হার নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপদের পয়েন্ট ৪। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পর্তুগালেরও, গোলপার্থক্যে টেবিলের তিনে তারা। হাঙ্গেরির পয়েন্ট ২।
সেরা ষোলোর টিকেট পেতে পর্তুগালকে এখন অপেক্ষা করতে হবে অন্য গ্রুপগুলোর খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত। আসরে ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়ছে ২৪ দেশ। গ্রুপসেরা ও রানার্সআপরা সরাসরি পরের পর্বে যাবে, ছয় গ্রুপের সেরা চার তৃতীয় দলও যাবে ষোলোয়। সেই হিসাব মিললে নকআউটে খেলবে পর্তুগিজরা। নয়ত ধরতে হবে বাড়ির পথ।
ম্যাচের ১১ মিনিটে লিড নিয়েছিল হাঙ্গেরি, অ্যাডাম সাজালাইয়ের গোলে। সেই গোল ৬৬ মিনিটে শোধ দেয় জার্মানি, কাই হাভার্টজের মাধ্যমে। দুই মিনিট পর ফের লিড নেয় হাঙ্গেরিয়ানরা, আন্দ্রেস সাহাফের গোলে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে লিওন গোরেটজা জাল খুঁজে নিলে হাসি ফোটে জোয়াকিম লোর মুখে।
আরেক ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে রোনালদোর ৩১ মিনিটের পেনাল্টি গোলে লিড নিয়েছিল পর্তুগাল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে করিম বেনজেমার পেনাল্টি গোলে সমতা টানে ফ্রেঞ্চরা।
মধ্যবিরতির পর ৪৭ মিনিটে পগবার বাড়ানো বলে বেনজেমার গোলে লিড নেয় ফ্রান্স। ৬০ মিনিটে রোনালদোর আরেকটি পেনাল্টি গোলে ফের সমতায় ফেরে পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত সমতাতেই আসে ম্যাচের সমাপ্তি।