টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ। পাইকারি দরে প্রতি কেজি টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
এ অঞ্চলে শীত মৌসুমে সাধারণত টমেটোর আবাদ হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগিতায় কালিহাতীর বিভিন্ন গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর করেছেন কৃষক।
স্থানীয় একজন কৃষক বলেন, বর্তমান গ্রীষ্মকালীন এই টমেটোর দাম অনেক বেশি। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। এতে আমি খুব উদ্বুদ্ধ হয়েছি।
অপর একজন কৃষক বলেন, আশেপাশের কৃষকেরা এখানে এসে দেখে খুব উদ্বুদ্ধ হয়েছি এবং লাভবান হচ্ছি।
চেচুয়া-মসিন্দা গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ বাড়ির উঠোনে পরীক্ষামূলক পাঁচ শতাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল বারি -৪ ও বারি-৮ জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেছেন। উৎপাদিত টমেটো খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এতে আবদুস সামাদের লাভ থাকছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
আবদুস সামাদ বলেন, গ্রীষ্মকালীন যে টমেটোর চাষ করতেছি এটা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা যায়। তাতে আমি যে টাকা খরচ করছি তার থেকে প্রায় দ্বিগুণ লাভ হবে আশা করা যাচ্ছে।
গ্রীষ্মকালীন টমেটো আবাদে কৃষককে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট। জেলার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, আমরা আশা করতেছি হেক্টর প্রতি কৃষকেরা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টন ফলন পাবে এবং হেক্টর প্রতি এই টমেটো চাষ করে কৃষকেরা প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা লাভ করতে পারবে।
প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি সুলভমূল্যে বীজের যোগান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কৃষক।