মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এমটিবি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। এর আগে তিনি ঢাকা ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডে যোগ দেওয়ার আগে মাহবুবুর রহমান ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এছাড়া তিনি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
মাহবুবুর রহমান ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের জন্য অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ এবিবি এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং এখন পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি তার অবদান রেখে চলেছেন। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে তার অর্জনের জন্য দ্য এশিয়ান ব্যাংকার লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ফর বাংলাদেশ এ ভূষিত হন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশন অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে মার্কেটিং এ মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড এগ্রিকালচ্যারাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড সাবিককো এ মনিটরিং অফিসার অফিসার ইন চার্জ ইন মনিটরিং হিসেবে ১৯৮৮ সালে পেশাজীবন শুরু করেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিজিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বিডি লিমিটেড আইডিএলসি-এ ম্যানেজার, মনিটরিং হিসেবে কাজ করেন।
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে বাংলাদেশ ম্যানেজার, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কর্পোরেট ব্যাংকিং এবং স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে রিলেশনশিপ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে সিটিব্যাংক এনএ তে রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০০৮ সালে যখন তিনি সিটিব্যাংক এনএ থেকে অব্যাহতি নেন তখন ব্যাংকের পরিচালক এবং হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন্স গ্রুপ হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
দেশে বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালায় অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একাডেমিতে ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং এবং ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকার ও অন্যান্য পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে লেকচার প্রদান করে থাকেন সৈয়দ মাহবুব। সম্প্রতি রাজু আলীম এর প্রযোজনায় এবং সানজিদা পারভীন এর উপস্থাপনায় চ্যানেল আই এর শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ক শিল্পলোক অনুষ্ঠানে সমসাময়িক অর্থনীতির নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রশ্ন: আমাদের ইকনোমিক গ্রোথ এখন সেভেন পারসেন্টের উপরে। ব্যাংকিং সেক্টর যেভাবে বিগত দিনগুলোতে যেভাবে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে। আগামী দশ বছরে সেই গ্রোথের ফুয়েলটা আমরা পাবো কিনা?
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: ইকনোমিক গ্রোথ এবং ব্যাংকের গ্রোথ কিন্তু সাথে সাথে হয়। একটা দেশের অর্থনীতির হার্ট বলতে যেটা বোঝায় সেটা কিন্তু ব্যাংকিং। তাই আমাদের অর্থনীতির যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা দেখছি প্রতি দশকে এক পার্সেন্ট করে আমাদের জিডিপি গ্রোথ হয়। এখন যদি দেখি-টু বি মোর প্রিসাইজ-আট পার্সেন্ট প্লাস কিন্তু গ্রোথ পাচ্ছি। আর আমাদের লক্ষ্য মাত্রা আছে আগামীতে আটের বেশিও যেন গ্রোথ করতে পারি। আর আমরা যদি গ্লোবালি চিন্তা করে দেখি আমরা কিন্তু ওয়ান অফ দ্য ফার্স্টেস্ট গ্রোয়িং ইকনোমি। আর একে সাপোর্ট করতে গেলে ব্যাংকের সহযোগিতা কিন্তু থাকতেই হবে। আমরা যারা ব্যাংকে কাজ করি তাদের কাজই হলো ইকনোমিক গ্রোথকে সাপোর্ট করা। ইটস এ কন্টিনিউয়াস প্রসেস। যতোদিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ব্যাংক থাকতেই হবে। আমরা অনেক টেকনোলজিক্যাল চেঞ্জ দেখছি। নতুন নতুন উদ্ভাবন আসছে কিন্তু লেনদেনের জন্যে যে ব্যাংক তা কিন্তু থাকবে। হয়তো সেবা দেওয়ার প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়ে যাবে।
প্রশ্ন: এখন আর ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নাই। ঘরে বসেই ব্যাংকিং হচ্ছে এবং সেবাও বুথ কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ব্যাংক কি থ্রেড এর মুখে পড়ছে?
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: না-না-না। ২০১১-২০১২ সালে আসলো এমএফএস মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। বিকাশ বা রকেট বলি- এরা আসলো। এছাড়াও কিছু কিছু ব্যাংক এই সার্ভিস চালু করেছে। এরপরে বাংলাদেশ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে আসলো। শুধুমাত্র ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। ধরেন- আমি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। আমি হয়তো একটি এলাকায় মোটামুটি কাজ করছি। আমাকে হয়তো আইডেন্টিফাই করতে পারে অ্যাজ এ এজেন্ট। আমি কিন্তু তখন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক বা রূপালী ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারি। এর কয়েকদিন পরে বাংলাদেশ ব্যাংক চমৎকার আরেকটি আইডিয়া নিয়ে আসলো। সাব ব্র্যাঞ্চ বা উপশাখা। এই উপশাখা কিন্তু রীতিমতো একটা রেভ্যুলেশন নিয়ে আসছে। যেমন এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে এসেছিল। এই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অলরেডি ৬ হাজার কোটি টাকা মোবিলাইজড করা হয়েছে। এই উপশাখাও দেখবেন ব্যাংকের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন আনবে। কারণ আমাদের যারা গ্রাহক তারা সবাই তো আর লোন নেয় না? বেসিক কাজ হলো টাকাটা জমা দেওয়া এবং টাকাটা উঠানো। কারণ হলো সেফটি এবং এখানে কিছু ইন্টারেস্ট পাওয়া যায়। এই বিষয়গুলো ইম্পট্যান্ট। সবচেয়ে বড় কথা সেভিংস যেটা আমরা চাই। আরেকটা হলো আমাদের ইনফরম্যাল ইকনোমি যেটা আছে। ধরেন- আমাদের ইকনোমির সাইজ বলা হয় ২৭০/৮০ বিলিয়ন ডলার। এটা হলো ফরমাল ইকনোমি। কেউ বলেন একশো ভাগই ইনফরমাল ইকনোমি কিংবা ৬০ বা ৭০ যাই হোক না কেন? এই উপশাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং করার পরে দেখছি ইনফরমাল ইকনোমি ফরমাল ইকনোমিতে চলে এসেছে। হুইচ ইজ ভেরি গুড ফর দ্য ইকনোমি।
প্রশ্ন: সরকারি ব্যাংকের মতো প্রাইভেট ব্যাংকগুলো গ্রাম গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে না। প্রাইভেট ব্যাংকগুলো কেন বেশি শহরমুখি সেবা দিচ্ছে?
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: এটা পুরোটা ঠিক না। আমরা কিন্তু গ্রামে যাচ্ছি। এখন দেখেন শহরে যদি একটা ব্রাঞ্চ করি তাহলে গ্রামে একটি ব্র্যাঞ্চ করতেই হয়। এছাড়া আমি কিন্তু অ্যাপ্রুভালই পাবো না। আমি যদি বারবার ঢাকায় চাই দিবে না আমাকে। ঢাকায়ও যদি করতে হয়। বছরে একটা হয়তো ঢাকায় দিবে বা একটা চট্টগ্রামে দেবে।
প্রশ্ন: ব্র্যাঞ্চই যে করতে হবে নট নেসেসারি?
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: আমি বলছি। ধরেন, কেউ যদি নাও চায় বাংলাদেশ ব্যাংক গাইড লাইনটা এমনভাবে করেছে যে, আপনাকে গ্রামে যেতেই হবে। আর দ্বিতীয়ত যেটা বললাম- এজেন্ট ব্যাংকিং। সাব ব্রাঞ্চ এগুলোর মাধ্যমে আমরা কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছি। ব্যাপারটা দেখেন, স্বাধীনতার পরপরই সব ব্যাংক সরকারি হয়ে গেলো। প্রাইভেট ব্যাংক ৮০ এর দশকের শুরুতে আসতে শুরু করলো। বাংলাদেশ ব্যাংক ওভার দ্য ইয়ার আস্তে আস্তে তারা কিন্তু করছিল, শিখছিল। একসময় দুটো একটা ছিল তার আগে দুটায় একটা ছিল আর এখন কিন্তু একটায় একটা। গ্রামে কিন্তু ছড়িয়ে পড়তেই হবে। গ্রামীণ অর্থনীতি বাঁচলে কিন্তু শহরও বাঁচবে। তাই এটা ভুলে গেলে চলবে না। আমরা প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংক বা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক আমরা ওখানটায় কিন্তু ফোকাসড আছি। কারণ ওখানে ছাড়া কিছু হবে না। রেমিটেন্স শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি আসে। রেমিটেন্স ক্যাপচার করতে হলে গ্রামে যেতেই হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো। এন্ড অব দ্য ডে সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা যারা এখানে আজ বসে আছি সবাই ওইখান থেকেই এসেছি। ওটাই আমাদের রুট। রুটকে ভুলে গেলে চলবে না। সরকারি ব্যাংক যেভাবে কাজ করে তাদের কিছূ ম্যান্ডেড আছে। যেহেতু সরকারি ব্যাংক ম্যান্ডেড বা সরকারের সোশ্যাল কমিটমেন্ট আগে থেকেই থাকে। অনেক কিছু তাদেরকে করতে হয়। তারা জানেন এটা করে আমার লস হচ্ছে কিন্তু তারপরেও করবেন কারণ সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে। আমরা যেহেতু প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংক লিস্টেড কোম্পানি। আমাদের অনেক ইনভেস্টরস আছে। আমাদের সবসময়ই কমার্শিয়াল সেন্স এর কথা চিন্তা করতে হয়। তারপরেও প্রতিবছর আড়াই পার্সেন্ট আমাদের পোর্ট ফলিওর সেটা আমরা কৃষি লোন দিচ্ছি, এসএমই লোন, মহিলা লোন- এগুলো আস্তে আস্তে কিন্তু আসছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি গ্রামে গঞ্জে ছোট ছোট লোন দিলে কিন্তু আমাদের সুবিধা।ওখানে এনপিএলটা কম হচ্ছে আদায় ভালো হয়।
প্রশ্ন: ব্যাড লোনের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকের চেয়ে ভালো করছে বেসরকারি ব্যাংক- কিভাবে?
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: সরকারের অনেক দায়বদ্ধতা থাকে। অনেক সময় অনেক কিছু করতে হয় যেমন, ধরেন তারা এগ্রিকালচার লোন দিচ্ছে। কিন্তু সেখানে যদি বন্যা বা অন্য কিছু হয় তখন তাদের কিন্তু রাইট আপ করতে হয়। এই ব্যাপারে তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে এটি আমি অ্যাপ্রিশিয়েট করি। কারণ তারা এটা করেন। আমরা যে করি না তা নয়? কিন্তু আমাদের তুলনায় সরকারি ব্যাংকের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। এনপিএলের ব্যাপারটি হলো এটি আমাদের সামাজিক রোগ হয়ে গেছে। কালচার অব ইমপিওরিটি ওয়ান অব দ্য রিজন। আই থিংক মেজর রিজন বেসিক্যালি তাই। কালচার অব ইমপিওরিটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে অনেক কিছু সম্ভব। অর্থমন্ত্রী এবং সরকার এই ব্যাপারে কিছু কিছু স্টেপ নিয়েছেন। এর ফলে সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন হবে। এর সাথে সাথে আরও কিছু কাজ হচ্ছে। যেমন ল কমিশনকে বাংলাদেশ ব্যাংক অলরেডি রেকমেন্ডেশন করেছে যে, এ সেট অব গাইড লাইন। এটা করলে আমরা আমরা এখন যে বিচারিক প্রক্রিয়া যেটা এটা অনেক লম্বা সময় লাগে। ৮/৯ বছর লেগে যায়। এই সময় কমিয়ে আনার জন্যে কিছু কাজ হচ্ছে। এগুলো যদি হয়ে যায় এবং এখন যে কাজ হচ্ছে আমি মনে করি সবকিছু মিলিয়ে সার্বিকভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা অনেক ভালো ফলাফল আশা করছি। সরকারেরও একটা কমিটমেন্ট আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও কমিটমেন্ট আছে। আমরা যারা এক্সিকিউশনে আছি তাদেরও বিরাট কমিটমেন্ট আছে। বিকজ এন্ড অব দ্য ডে এটা আমাদের ভালো করতেই হবে।
প্রশ্ন: সিঙ্গেল ডিজিট সরকারি ব্যাংক আগে থেকে ইম্পিলিমেন্ট করছে কিন্তু প্রাইভেট ব্যাংকগুলো এখনো পারছে না কেন?
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: এই ব্যাপারে অনেক দিন ধরে কথা হচ্ছে। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিতের সাথে একনেকে বৈঠকে কথা হয়েছিল আমরা ৯ আগস্ট থেকে শুরু করে দেবো। এরপর ৯ আগস্ট থেকে আমরা অনেক ব্যাংক ডিপোজিট এবং লেন্ডিং শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরে দেখা গেলো ডিপোজিট আমরা লোয়ার ইন্টারেস্টে পাচ্ছিলাম না। কিছু কিছু গ্যাপ ছিল। যেগুলো বর্তমান অর্থমন্ত্রী কিভাবে সেগুলো অ্যাড্রেস করবেন? তিনি তা বলে দিয়েছেন যে, আমি এইভাবে এটা এক্সিকিউট করবো। সেই জিনিস যদি করা যায় এবং সাথে সাথে আরও যারা স্টেক হোল্ডার আছে– আমার মনে হয় একটা কথা যে, আজকে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এখানে যারা আজকে বসে আছি তারা কিন্তু এটার বেনিফিসিয়ারি প্রত্যেকে। এই সতের কোটি মানুষ কিন্তু এটার বেনিফিসিয়ারি। তো এই প্রক্রিয়ায় সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুধু সরকারি ব্যাংক বা বেসরকারি ব্যাংক বা সরকারি ডিপোজিটাররা আসলে হবে না। আমাদের বেসরকারি ডিপোজিটার যারা আছেন। বিশেষ করে ইন্সটিটিউশনগুলো, কর্পোরেটগুলো সবাইকে এখানে আসতে হবে। বিকজ আমরা যদি আজকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ২০৪১ সালে উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসাবে দেখতে চাই তাহলে সবাইকে পার্টিসিপেট করতে হবে। এনটায়ার স্প্রেকটামে যারা আছেন সবাইকে পজিটিভলি আসতে হবে। তাহলে বেনিফিটটা সবাই পাবে। বাস্টেট কেস থেকে বাংলাদেশ কোথায় চলে যাবে। সবার জন্যে ঈর্ষনীয় ব্যাপার এবং দৃষ্টান্তমূলক হবে।
প্রশ্ন: ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে ৫৯টি ব্যাংক আছে। এটি সংখ্যায় কম না বেশি?
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: এটা খুব ডিফিকাল্ট। একেক জনের কাছে একেক রকম মনে হতেই পারে। সরকার যেহেতু এটার অ্যাপ্রুভাল দিচ্ছে আমি নিশ্চিত সরকারের কোন চিন্তা ভাবনা আছে এবং তাদের ইনসাইট যেটা আছে সবজায়গায় তো আমার ইনসাইট নাই। আমি বাইরের থেকে দেখি আমি চিন্তা করি যে, আমার এতো বিলিয়ান ডলারের ইকনোমি। আমি চিন্তা করি অন্যান্য দেশের সাথে মিলাতে তখন মনে হয় যে সংখ্যাটা অনেক বেশি। কিন্তু আমার যদি সরকারের সমস্ত তথ্য জানা থাকতো বা আমি সরকারের চিন্তাভাবনার সাথে যদি যুক্ত থাকতে পারতাম তাহলে হয়তো মনে হতে পারতো এই সংখ্যা অনেক কম। এখন এটি আসলে সেইভাবে চিন্তা করতে হবে।