চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির দাবির টাকা বিষয়ে আদেশ রোববার

গ্রামীণফোনের কাছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিষয়ে আপিল বিভাগের আদেশ হবে আগামী রোববার। তবে গ্রামীণফোনকে এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ফোরামে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা না করতে বলা হয়েছে।

সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আজ আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। আর গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস, এ এম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগকে জানানো হয় যে, তারা অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সাথে সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০০ কোটি টাকা বিটিআরসিকে দিতে রাজি আছে।

গত ৩ অক্টোবর অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সাথে গ্রামীণফোনের এক সমঝোতা বৈঠকে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো: ১. দুই পক্ষ একটি কমিটি গঠন করে পাওনা পরীক্ষা অথবা পরীক্ষার পদ্ধতি বের করবে। ২. বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। অন্যদিকে অপারেটররা মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেবে। ৩. অর্থমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, এনবিআর ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখবেন। ৪. কমিটি গঠন ও কমিটির কাজ শুরুর আগে আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রামীণফোন ১০০ কোটি ও পরের এক মাসের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা বিটিআরসিকে দেবে। রবি দেবে দুই দফায় ৫০ কোটি টাকা। ৫. এসব প্রস্তাব দুই অপারেটর তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবে।

গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে চলতি বছর দাবি করে বিটিআরসি। এ পাওনার উৎস গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এবং রবির ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। তবে গ্রামীণফোন ও রবি সব সময় বলে আসছে যে তাদের যুক্তি নিরীক্ষায় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

একপর্যায়ে বিটিআরসির দাবি করা টাকার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে নিম্ন আদালতে একটি টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) মামলা করে গ্রামীণফোন। ওই মামলাটি আদালত গ্রহণ করে। ওই টাইটেল স্যুটের অধীনেই গ্রামীণফোন বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে, যা গত ২৮ অাগস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দেয়।

নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন। এরপর সে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। সেই সাথে গ্রামীণের আপিল আবেদনটি ৫ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

এদিকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসির করা এক লিভ টু আপিলের শুনানির পর গ্রামীণফোন ন্যূনতম কত টাকা দিতে পারবে তা জানতে চান আপিল বেঞ্চ। তবে টাকা দেয়ার বিষয়ে জানাতে পরে সময় নেয় গ্রামীণফোন।