যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে একদিনে সর্বোচ্চ প্রায় ৮০ হাজার করোনা রোগী ভারতে। ১৭ জুলাইয়ের পর সোমবার সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যাটাই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ শনাক্ত করোনা রোগী বলে জানিয়েছে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় ভারতে সংক্রমণ বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মার্চ মাসে করোনার কারণে সারাবিশ্ব জুড়ে যখন লকডাউন চলছিল,সেই সময় লাখ লাখ মানুষ তাদের কাজের সুযোগ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছিল, এবং অর্থনীতি উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন দেশের সরকার বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে সব খুলে দেওয়ায় ভারতে সংক্রমণ বেড়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৪ হাজার ১৪২জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে। তবে মৃত্যু সংখ্যা কমে আসলেও আক্রান্তের হার কমেনি। একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৬৭০জন।
তবে হঠাৎ কেনো ভারতেই বাড়ছে করোনা রোগী? এই বিষয়ে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্ডিওলজি চিকিৎসক মনোজ কুমার করোনা সংক্রমণ ভারতে বেড়ে যাওয়ার পেছনে গ্রামাঞ্চলে হঠাৎ মহামারিটি ছড়িয়ে যাওয়াকে ভাবছেন।
অন্যদিকে ভারতে হয়ত আক্রান্তের সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে, কারণ অনেক রোগী কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিন্তু তাদের রেকর্ড স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নেই।
কোভিড -১৯-এর প্রাথমিক পর্যায়ে, ভারতে কঠোর লকডাউন থাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল, তবে ভাইরাসটি ভারতের মেগাসিটি মুম্বাই এবং দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে ছোট শহর এবং গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।
সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও ভারত সরকার সকল জায়গার চলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছে, এমনকি মাস্ক এবং সামাজিক দূরুত্ব রেখে আগামী মাস থেকে সাংস্কৃতিক, বিনোদন এবং ক্রীড়া ইভেন্টে ১০০ মানুষের জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য ভারতে বিভিন্ন বড় বড় শহরের সাথে ট্রেন চলাচল আবারও শুরু করা হবে।
এখন পর্যন্ত সোমবারের পর সর্বোচ্চ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল গত ৯ অগাস্ট৷ সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৩,৮৫১।
গত সপ্তাহে নতুন আক্রান্তের নিরিখে বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.১ শতাংশ৷ যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় তিন গুন বেশি৷একই ভাবে বেড়েছে মৃত্যু হারও৷ শুধু মহারাষ্ট্রেই ১৬,৪০৮টি নতুন সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে৷