গ্রামবাসীরা ইচ্ছা করলে রাজনকে বাঁচাতে পারতেন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গ্রামীবাসীদের মধ্যে যদি কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকেন তাদেরও শাস্তি দেয়া হবে।
শুক্রবার বেলা আড়াইটায় সিলেট সদর উপজেলার বাদেয়ালী ভাইয়ারপাড় রাজনদের বাসায় গিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, হত্যার বিষয়ে যাদের একটু সন্দেহ হবে, তারা কেউই বাঁচতে পারবে না। তিনি এলাকাবাসী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্দেশে খুনিদের বিরদ্ধে স্বাক্ষ্য দেয়ার আহবান জানন।
বিচার ব্যবস্থায় আইনী কোনো ধরনের ফাঁকফোকর রাখা হবে না বলে উল্লেখ করেন আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, শিশু রাজনকে পৈশাচিক নির্যাতন করে যারা হত্যা করেছে তারা মানুষ না, জানোয়ার। রাজন হত্যার আসামি (কামরুল ইসলাম) সৌদি আরবে পালাতে সহায়তাকারী বদমায়েশদের বিরদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় আব্দুল মুহিত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। অর্থমন্ত্রী রাজনের ভাই সাজনের ভবিষ্যতের জন্য ৫ লাখ টাকার ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেন।
এ সময় আওয়ামী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ, সুব্রত পুরকায়স্থ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটে আলোচিত শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার তালিকাভুক্ত চারজন আসামীর মধ্যে তিনজনকে আটকের পর সর্বশেষ আসামি আলী হায়দারকে (৩৭)শুক্রবার আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এর আগে এ ঘটনার তালিকাভুক্ত আসামি কামরল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় গ্রেপ্তর করা হয়। অন্য দুজনের মধ্যে মুহিতকে স্থানীয়রা প্রথমদিনেই আটক করে আর চৌকিদার ময়নাকে এলাকাবাসী ও তার মায়ের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও ঘুষের বিনিময়ে রাজনের হত্যাকারীকে সৌদি আরব পালিয়ে যেতে সহায়তা এবং মামলার কাজে অসহযোগিতা করার অভিযোগে মঙ্গলবার জালালাবাদ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তার ভাই কামরল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।