দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গত কয়েক বছরে পৌঁছে গেছে সিলিন্ডার গ্যাস। এর ফলে সাধারণ মানুষ নানা সুবিধাও যেমন পাচ্ছে, ঠিক তেমনই তারা রয়েছে বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে। মাঝেমধ্যেই দেশের নানা জায়গায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।
তেমনই একটি দুঃখজনক খবর পাওয়া গেল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তুষারধারা আবাসিক এলাকায়। ওই আবাসিক এলাকার এক বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে একই পরিবারের চারজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের সবারই শরীরের ৯০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রত্যেকের অবস্থায় অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাদের বার্ন ইউনিটের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে রাখা হয়েছে।
এর আগে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির সময়। সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাত এমন আলোচনা ওই ঘটনার শুরু থেকেই চলছিল। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এসব আলোচনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মেয়র সাঈদ খোকন তখন একপর্যায়ে বলেছিলেন: পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল গ্যাস সিলিন্ডার থেকে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সূত্রপাতের সময়ের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। ওই ফুটেজ দেখে পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আমাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গাড়ির সিলিন্ডার থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত নানা কারণে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এক্ষেত্রে নিয়মকানুন মানা হচ্ছে না। মেয়াদোর্ত্তীণ সিলিন্ডারের নিরাপত্তা বিষয়ক পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এ কারণে অজ্ঞাতসারে হলেও মেয়াদোর্ত্তীণ সিলিন্ডারের ব্যবহার বাড়ছে।
আমরা মনে করি, এসব কারণেই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মরণঘাতী দুর্ঘটনা বাড়ছে। এছাড়া যারা সিলিন্ডার ব্যবহার করেন তাদের আরও সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে দুর্ঘটনা রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। তাই দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।