অনেক বাসা-বাড়িতে গ্যাস নেই, ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছে না শিল্প প্রতিষ্ঠানও। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের চাপ না থাকায় ঠিকসময়ে প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে না রপ্তানিপণ্য।
শিল্প মালিকরা বলছেন, দু সপ্তাহে গ্যাস সংকটের তীব্রতায় রপ্তানি শিডিউলে বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। বিকল্প হিসেবে ডিজেল এবং ফার্নেস তেলের দাম কমানোর দাবি তাদের।
ঢাকার মহাখালীর একটি গার্মেন্টস কারখানা। বায়ারদের অর্ডার অনুযায়ী পোশাক তৈরিতে নিয়োজিত শ্রমিকদের অন্যান্য লাইনে কাজ চললেও বসে আছে ফিনিশিং লাইনের আয়রনম্যানরা। গ্যাসের চাপ না থাকায় চলছে না আয়রন মেশিন।
তারা বলছেন, ‘যদি দশ মিনিট গ্যাসের চাপ না থাকে তাহলে আমরা আয়রনের কাজ করতে পারছি না। ৫ মিনিট গ্যাস থাকলে ১০ মিনিট বসে থাকতে হচ্ছে।’
দু সপ্তাহ ধরেই এমন পরিস্থিতি বলে জানালেন কারখানাটির এক পরিচালক। এম ইউ ফ্যাশনের পরিচালক মাসুদ কাদের মনা জানান, ‘আমাদের ফিনিশিং সেকশন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। গত দু’সপ্তাহ আগে আমি তিতাস গ্যাস বরাবর চিঠি লিখেছি, কিন্তু এ ব্যাপারে কোন বিধি-ব্যবস্থা হয়নি।
শুধু এই কারখানা নয়, ঢাকা ও আশেপাশের দু’শ কারখানা এবং চট্টগ্রামের বেশিরভাগ কারখানা উৎপাদন ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। দেরিতে কাজ শেষ হওয়ার কারণে রপ্তানি অর্ডার ঠিক রাখতে কেউ কেউ বাধ্য হচ্ছেন উচ্চ খরচে বিমানে পণ্য পাঠাতে ।
ইমপ্রেসিভ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন ঢালী বলেন, ‘আমাদের ফিনিশিং সেকশন পুরোটাই গ্যাস নির্ভর। সে ক্ষেত্রে শিফটমেন্ট আটকে যাচ্ছে। আমাদের বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাস কিনতে হচ্ছে কিন্তু সেটা অনেক ব্যয় বহুল।
ওয়েল গ্রুপগার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, গ্যাস সংকট নিয়ে নিয়মিতই অভিযোগ পাচ্ছেন তারা।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখনই বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ডিজেলের দাম কমিয়ে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে হবে।’
দ্রুত এলএনজি আমদানির মাধ্যমে বিকল্প জ্বালানি নিশ্চিত করার দাবিও শিল্প মালিকদের