চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গ্যাস সঙ্কটে চরম দুর্ভোগে মিরপুরবাসী

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে গ্যাস না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা।মেট্রোরেলের কাজের জন্য গ্যাস লাইনের সংস্কারে গ্যাস বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গ্যাস বন্ধ রাখার খবর আগেই স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে ও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।  দুপুর ২টার পর থেকে কিছু কিছু এলাকায় আবার গ্যাস আসতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

মিরপুর ১, ২, ৬, ১০, ১১, ১২ নম্বর সেকশনসহ কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে গ্যাস লাইন বন্ধ ছিল। গ্যাস লাইন বন্ধ থাকায় খাবারের জন্য হোটেলগুলোতে ছিল ভীড়, চাহিদার তুলনায় খাবার সরবরাহ কম থাকায় দীর্ঘ লাইন দিয়ে খাবারের অপেক্ষা করে অনেকে ফিরে গেছেন।

মিরপুর -১১ নম্বর সেকশনে ১২ নং রোডের বাসিন্দা মৃদুল কুমার চাকী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, সকাল থেকে বাসায় গ্যাস নেই।খাবারের জন্য সাত/আটটি হোটেল ঘুরে লম্বা লাইন ধরে, এক প্রকার যুদ্ধ করে খাবার সংগ্রহ করেছি।গ্যাস না থাকায় আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কখন গ্যাস আসবে জানিনা।

মিরপুর -২ এর বাসিন্দা সাজ্জাদ খানও জানিয়েছেন একইরকম অবস্থার কথা। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, সকাল থেকে গ্যাস না থাকায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।হোটেলগুলোতে ছিল খাবারের জন্য হাহাকার।বিশেষ করে নামাজের পরে এটা আরো চরম আকার ধারণ করে। কেননা হোটেলগুলোতে খাবারের তুলনায় চাহিদা ছিল অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে শুধু রুটি আর কলা খেয়েছি। গ্যাস না থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ব্যাচেলরদের।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের মতিঝিল জোনের ম্যানেজার মো  হুমায়ুন কবির (শিল্প) চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, লাইন সংস্কারের জন্যই গ্যাস বন্ধ রাখা হয়েছিল।গতরাত ১০টা থেকে সকাল ১০ টার মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শেষ হতে প্রায় দুপুর দুইটা বেজে গেছে। দুইটার পর থেকে পুনরায় গ্যাস লাইন চালু হয়েছে।

লাইন বন্ধের জন্য কোন ঘোষণা ছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, এমনকি টেলিভিশনে এর জন্য প্রচারণা করা হয়েছে। আগাম ঘোষণা দিয়েই সব কিছু করা হয়েছে।

দুপুরের পর থেকে ওইসব এলাকায় পর্যায়ক্রমে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে বৃহত্তর মীরপুর এলাকার গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা গেছে।