‘এত কাছে, তবু কত দূর!’ চার বছর আগে হয়ত এই বাক্যটাই ঘুরে ফিরে আসছিল লিওনেল মেসির মনে! গোল্ডেন বল নিতে যখন পোডিয়ামে উঠছিলেন, তখন বিশ্বসেরার ট্রফিকে হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখেই ফিরতে হয়েছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। চার বছর পর ঠিক একই অভিজ্ঞতা হল আরেক অধিনায়ক লুকা মদ্রিচের।
লুঝনিকিতে রোববার ফাইনাল হারলেও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি ‘গোল্ডেন বল’ উঠেছে মদ্রিচের হাতে। বুকে ব্যথা চেপে সেই ট্রফি যখন আনতে যান, স্বপ্নের শিরোপা ঠিক পাশেই ছিল ক্রোয়েশিয়া অধিনায়কের। মদ্রিচ চেয়েও দেখলেন না, মন হয়তো ছুঁতে চাইছিল কিন্তু আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে সোজা নিজের কাজ শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে যান। বৃষ্টি থাকায় চোখে জল ছিল কিনা বোঝা গেল না!
কষ্টের হলেও মেসি ও মদ্রিচকে মিলিয়ে দিচ্ছে এই গোল্ডেন বুটই। ব্রাজিল বিশ্বকাপে চার গোল করে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই ফাইনালে তুলেছিলেন মেসি। দারুণ নৈপুণ্যে ক্রোয়েশিয়াকে প্রায় একইভাবে ফাইনালে তোলেন মদ্রিচ। নামের পাশে ২ গোল থাকলেও মদ্রিচের মাহাত্ম্য ছিল মাঠের খেলা গড়ার কাজে। কিন্তু মেসির মতই শিরোপা এনে দিতে পারলেন না ক্রোয়েট অধিনায়ক।
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে যাকে হারিয়েছেন সেই কাইলিয়ান এমবাপের অবস্থাটা পুরোপুরি ভিন্ন। ফ্রান্সকে শিরোপা জেতানোর পথে তারও আছে একটি গোল। পেলের পর ২০ বছরের কমবয়সী ফুটবলারের জন্য যা প্রথম গোল। সবমিলিয়ে আসরে ৪ গোল এমবাপের। আসরের সেরা উদীয়মান ফুটবলারের খেতাব তার হাতে তুলে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি বিচারকরা। শিরোপা জয়ী তারকা হাসিমুখেই হাতে তুলে নেন স্বীকৃতি।
মদ্রিচ-এমবাপে জিতেছেন স্বীকৃতি। তেমনি গোল্ডেন গ্লাভস জিতে বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও ব্যক্তিগত ট্রফির কাতারে। সেখানে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার অবধারিতভাবেই ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেনের হাতে, সর্বোচ্চ ৬ গোল তার।