দুই দেশের জন্যই প্রথম হলেও বাংলাদেশের জন্য এক দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকল গোলাপি বলের দিন-রাতের টেস্টের প্রথম দিনটা। বোলারদের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের দাপটে শুরুর দিনেই ম্যাচের শেষ রেখা প্রায় টেনে রাখল ভারত। বাংলাদেশকে ১০৬ রানে অলআউট করে ৬৮ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। ৩ উইকেটে ১৭৪ রানে দিনশেষ করে কোহলিরা।
শুক্রবার বাংলাদেশের মতো ভারতের শুরুটাও ভালো হয়নি। আল-আমিন, ইবাদত ও রাহিদের বল খেলতে অসুবিধে হয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। যার রেশ ধরে ২৬ রানের মাথায় সাফল্য পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আল-আমিনের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি চলতি বছর টেস্টে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
পরে বাংলাদেশকে আরও স্বস্তি এনে দেন ইবাদত হোসেন। সবশেষ টেস্ট সিরিজে সাউথ আফ্রিকাকে যিনি ব্যাট হাতে দুরমুশ করেছেন সেই রোহিত শর্মাকে ফেরান এ পেসার। তার অফস্টাম্পের বাইরে পিচ করে ইনসুইং করে ভেতরে ঢোকা বল আটকাতে ব্যর্থ হন রোহিত। আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও আর রক্ষা পাননি ‘হিটম্যান’। ফেরার আগে তার নামের পাশে জমা হয় ২১ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে পাল্টা দেন চেতশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহলি। দুজনের ৯৪ রানের জুটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায় ভারতকে। ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফসেঞ্চুরি তোলার পর অবশ্য বেশি সময় টিকতে পারেননি পূজারা। ইবাদতের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফিরতে হয় তাকে। স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে বল জমা হতেই সাজঘরে হাঁটা দেন পূজারা।
লম্বা সময়ের সঙ্গীকে হারিয়ে ক্রিজে অবিচল কোহলি। সঙ্গে পেয়েছেন আরেক তারকা ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানেকে। দুজনে ৩৭ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন তারা। ক্যারিয়ারের ২৩তম ফিফটি তুলে কোহলি অপরাজিত ৫৯ রানে। আর রাহানের রান ২৩। ১১ ওভার বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।