আসাদুজ্জামান বাবুল: গোপালগঞ্জে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় সদর থানার ওসি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রোববার রাত ৯টা থেকে ১২ টা পযর্ন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে। এসময় মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ভবনের কক্ষের কাঁচ ভাঙচুর করা হয়।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: জাকির হোসেন বলেন,মেডিকেল কলেজের মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে থাকে। খেলার সময় মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিংসহ নানা মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়টি জানাজানি হলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঠে খেলতে নিষেধ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এর জেরে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। লাঠি-সোঠা ও ইট-পাটকেল নিয়ে থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মনিরুল ইসলাম ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা মেডিকেল কলেজের মাঠে ক্রিকেট খেলে থাকি। আমাদের মাঠে খেলতে না দেয়ার জন্য এমন ঘটনা সাজানো হয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: খায়রুল আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।