আসাদুজ্জামান বাবুল, গোপালগঞ্জ: চারপাশ সবুজ গাছপালায় ঘেরা গোপালগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি বলাকইড় গ্রামের পুর্বপাড়ায় পদ্মবিলে ফুটেছে অপরুপ সুন্দর পদ্মফুল।
প্রতিদিন নানা বয়সী দেশি-বিদেশী পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে অঘোষিতে এই পর্যটন স্পট বলাকৈইড় গ্রাম। প্রতি বছরই পর্যটকদের সমাগমে মিলন মেলায় পরিণত হয় এখানে।
কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এ বছর প্রায় পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে এই অঘোষিত পর্যটন স্পট বলাকৈইড় গ্রামটি।
গোপালগঞ্জ জেলা শহর থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত বলাকৈইড় গ্রাম। এ গ্রামটির পূর্বপাড়ায় প্রায় এক হাজার বিঘা জায়গা জুড়ে এই পদ্মবিল। যে বিলটিতে ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন পদ্মফুল।
বিলটিতে প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুরুতেই দৃষ্টিনন্দন পদ্মফুল ফোটে। থাকে কার্তিক মাস পর্যন্ত। এই পদ্মবিলটি ঘুরে দেখানোর জন্য এই গ্রামের ৫০ থেকে ৬০জন মানুষ তাদের নিজ নিজ নৌকা নিয়ে পদ্মবিলের পাড়ে বসে থাকেন।
এখানকার প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা বললেন, এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব বেশি ভালো না থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর প্রায় পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে। বলাকৈইড় বাজার থেকে পদ্মবিল পযন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ইটের সোলিং। তাও আবার দুপাশ ও মাঝখানে ইট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এখানে আসা মানুষদের। দূর-দূরান্তের পর্যটকদের সমাগমে মুখোরিত পদ্মবিলে আসা মানুষ এই পদ্মবিলটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভুমি গোপালগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি জেলা। এখানে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুরের লাল শাপলার বিল, জেলা সদরের বলাকৈইড়ের পদ্মবিল ও কোটালীপাড়াসহ জেলা নানান জায়গায় পর্যটনের ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে।