রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় বনানি থানার ওসি সালাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হওয়ার পর আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। তাঁর মরদেহ এখন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন বিদেশি জিম্মি রয়েছে; তাদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে রাত পৌনে ৯টার দিকেরেস্টুরেন্টের ভেতর ৮-৯ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে ফাঁকা গুলি ছোড়া শুরু করে। গুলির শব্দ পেয়ে টহল পুলিশ ওই এলাকায় এলে তাদের ওপর সন্ত্রাসীরা গুলি ও বোমা বর্ষণ শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হোটেলের আশপাশ এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
পুলিশ জানিয়েছে সন্ত্রাসীদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ ইউনিট হোটেল থেকে জিম্মিদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে। হোটেলটির আশে পাশের লোকজন জানিয়েছে সন্ত্রাসীরা আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে।
এরআগে গুলশানের ৭৯ নং রোডের হলি আর্টিজেন বেকারিতে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।
ঘটনাস্থলেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে গলায় গুলিবিদ্ধ হন মাইক্রো বাস চালক আব্দুল রাজ্জাক। পুলিশের অপর দুই কনস্টেবলের পায়ে ও মুখে গুলি লাগে। পুলিশের আহত সদস্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক কিনা সে সম্পর্কে কোনো প্রকার মন্তব্য করেন নি কতর্ব্যরত চিকিৎসক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্মিদের উদ্ধার করতে বিশেষ বাহিনী (স্পেশাল উইপেন্স এন্ড টেকটিকস) সোয়াট অভিযানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।