ছাদকৃষিতে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে। ছাদে শান্তস্নিগ্ধ পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি বিষমুক্ত ফল ও ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন উদ্যোক্তা। ফল ফসলের রোগবালাই দমন থেকে শুরু করে সব বিষয়ে তারা রপ্ত করছেন অভিজ্ঞতা ও কৌশল।
একসময় ছাদকৃষি ছিল শুধুই সৌখিনতার। সময়ের ব্যবধানে তা পাচ্ছে পুরোপুরি কৃষির মনোযোগ। উদ্যোক্তা দিনে দিনে বাড়াচ্ছেন ফল ফসলের বৈচিত্র।
ফসল যেখানে আছে, সেখানেই আছে রোগবালাই। আর দমন কৌশলে আছে বিষের ব্যবহার। এই বিষ ও রাসায়নিকের আগ্রাসন থেকে ফল ফসল রক্ষা সময়ের চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়েও দক্ষতা বাড়ছে একেকজন উদ্যোক্তার। জৈব পদ্ধতি অনুসরনেই বেশি আগ্রহী তারা।
গুলশানের ছাদকৃষি উদ্যোক্তা এ এ কামরুজ্জামান বলেন, ছাদ কৃষিতে মাটি, পানিসহ সবকিছু একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় হতে হবে। অর্থাৎ সীমিত পরিসরে সীমিত উপকরণ দিয়েই সবকিছু উৎপাদন করতে হয়। এর জন্য দরকার হয় বিজ্ঞানসম্মত জানা-বোঝা। এক্ষেত্রে ছাদকৃষি উদ্যোক্তার জানাবোঝাকে ঝালিয়ে নিতেই প্রথম থেকেই আমরা একজন উদ্যান বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে থাকি। আর সে পরামর্শের ফলাফলও পাচ্ছি আমরা।
কামরুজ্জামান তার অবসর জীবনে খোঁজেন শান্ত শীতল পরিবেশ। আর ছাদ কৃষিই এখন তার মূল ঠিকানা। তিনি এই ছাদকৃষিকে সাজিয়েছেন শতভাগ জৈব পদ্ধতিতে। বিষমুক্ত ফলমুল ও শাক সবজি উৎপাদন নিশ্চিত করাই তার অন্যতম লক্ষ।
প্রতি মৌসুমেই কামরুজ্জামানের ছাদে উৎপাদন হচ্ছে মৌসুমি ফলমুল ও শাক সবজি। যা দিয়ে মিটে যাচ্ছে পরিবারের চাহিদা। তার ছাদকৃষির সুপরিচিত অবকাঠামো হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে পরিত্যক্ত বাথ টাব। এখানে আবাদ হচ্ছে বেগুন, পেঁয়াজ, করলা, ব্রোকলি।
পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের অনেকখানি ভার নিতে পারে ছাদ, আর মনের খোরাক তো পুরণ করেই তা প্রমাণিত হয়েছে এ এ কামরুজ্জামানের মতো অসংখ্য উদ্যোক্তার কাছে।