রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। সেখানে দু’পক্ষের গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সাঁজোয়া যানসহ সেনাবাহিনীর একটি দল অবস্থান নিয়েছে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের সামনে।
জিম্মিদের উদ্ধারে বিশেষ বাহিনী (স্পেশাল উইপন্স এন্ড টেকটিকস)
সোয়াটের সঙ্গে ভোর ৪টার পর থেকেই পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, নৌ-বাহিনী কমান্ডো
দল সীল এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে।
রাত গভীর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতিতে
নিতে শুরু করে। শুরুতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সোয়াটের উপস্থিতি
থাকলেও রাতের শেষ দিকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনী কমান্ডো
দল সীল এবং সেনাবাহিনীর বিশেষ
কমান্ডো দল।
মধ্যরাতে সীলের কয়েকজন সদস্য রেস্টুরেন্টের পেছনে থাকা লেক পেরিয়ে ভেতরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসে। ফেরার পর তারা জানায়: ভেতরে ৭ থেকে ৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। প্রত্যেকের পরনে রয়েছে জিনসের প্যান্ট এবং টিশার্ট। জিম্মিদের মধ্যে দু’টি শিশুও রয়েছে।
ভোর চারটার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবাদকর্মীদের ঘটনাস্থল থেকে ১ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেয়।
জিম্মি ঘটনার শুরুতেই পুলিশের দুই
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বনানী থানার ওসির মাইক্রোবাস ড্রাইভার রাজ্জাক নিহত
হয়েছেন। নিহতরা দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ডিবি’র সহকারী কমিশনার রবিউল
ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ খান।