ভারতের আসামে গুপ্তধনের লোভে নিজ সন্তানদের উৎসর্গ করার চেষ্টার সন্দেহে এলাকাবাসী দুই দম্পতি ও তাদের ছয় সন্তানকে পুলিশে দিয়েছে। ওই দুই দম্পতি এবং তাদের ছয় শিশুকে আটক করে “প্রতিরক্ষামূলক হেফাজতে” রেখেছে আসাম পুলিশ।
আসামের শিবসাগর জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই দুই পরিবার তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেও আসামে পুলিশ নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছে। যদিও পুলিশ কোনও প্রত্যক্ষদর্শী বা গ্রামবাসীর অভিযোগ পাইনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার পূর্বে এবং জেলা সদর শিবসাগর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে ডিমোমুখ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের বাসিন্দারা জামাইউর হুসাইন ও শরিফুল হুসা্ইন নামের দুই ভাইয়ের সম্পর্কে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। তারা স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শে তাদের সন্তানদের হত্যা চেষ্টা করছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিবসাগর পুলিশ জানিয়েছে, ‘শিবসাগর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে সোনারির বেজ নামে পরিচিত ওই ব্যক্তি দুই ভাইকে তাদের বাচ্চাদের কোরবানি দিলে তাদের বাড়ির একটি আমের গাছের নীচে লুকানো সোনার সন্ধান পাবেন।’
পুলিশ জানায়, দুই ভাইয়ের ছয় শিশুকে বন্দী করে রাখলে স্থানীয়রা সন্দেহ করে শিবসাগর সদর থানায় দুই ভাই, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের হস্তান্তর করেন।
শিবসাগরের পুলিশ কর্মকর্তা জয়ন্ত শরতী বোরা বলেন, সন্তানদের কোরবানির অভিযোগকে আমলে নেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় পুলিশ পরিবারটিকে সুরক্ষামূলক হেফাজতে রেখেছে। সন্দেহজনক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছি বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই দুই পরিবার। মাসখানেক আগে তারা ওই সোনারির বেজের কাছে তাদের সন্তানদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য পরামর্শ করতে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন। তবে পুলিশ ওই সোনারি বেজকে খুঁজছেন বলে জানিয়েছে।
গত বছর আসামের উদালগিরি জেলায় এক পরিবার যখন তাদের শিশুকে উৎসর্গ করতে চলেছিল ঠিক তখনই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে, এক ব্যক্তি তার ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে হত্যা করেছিলেন যাকে মানববলির ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।