কাতারের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে বাহরাইনের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ আলী সালমানকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আপিল আদালত।
যদিও কয়েক মাস আগে বাহরাইনি হাইকোর্ট সালমানকে ‘বিরোধী রাষ্ট্রের’ সঙ্গে যোগসাজশের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। সেই রায়ের আপিলে এবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সর্বোচ্চ আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিলেন।
২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল বাহরাইন। তখন থেকে দেশটিকে ‘বিরোধী রাষ্ট্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই রায়কে ‘বাহরাইনের ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর চলমান দমনপীড়নের মাঝে ‘ন্যায়বিচারের হাস্যকর বিকৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও নর্থ আফ্রিকা বিষয়ক পরিচালক হেবা মোরায়েফ বলেন, ‘এই রায়… যে কোনো ধরনের ভিন্নমত দমনে বাহরাইনি সরকারের অবিরাম নিষ্ঠুর এবং আইনবিরোধী প্রচেষ্টার আরেকটি নিদর্শন।’
‘শেখ আলী সালমান একজন রাজনৈতিক কারাবন্দী যাকে শুধুই শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগ করার দায়ে আটকে রাখা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আলী সালমান বর্তমানে বেআইনি ঘোষিত আল-ওয়েফাক আন্দোলনের নেতা। ২০১১ সালে সরকারবিরোধী অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য কাতারের সঙ্গে মিলে চক্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল আলী সালমানের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে আরও দুই বিরোধী দলীয় নেতা হাসান সুলতান এবং আলী আলআসওয়াদকেও কেউ আটক করা হয়।
এই দু’জনও সালমানের সঙ্গে আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়েছেন।