চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

গুজরাটে কারফিউ জারি, ইন্টারনেটও বন্ধ

সরকারি চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণের দাবি নিয়ে ভারতের গুজরাট রাজ্যের পটেল সম্প্রদায়ের কয়েক লাখ মানুষ রাজধানী আহমেদাবাদে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর হয় সরকারি সম্পত্তি, বাস।

রাতে আন্দোলনের ২২ বছর বয়সী নেতা হার্দিক পটেলকে অনশন মঞ্চ থেকে তুলে নিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই উত্তেজনা চরমে ওঠে।

আরো সংঘর্ষের আশঙ্কায় বুধবার কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজও।

কারফিউ জারির পর রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে হোয়াটসআপ সার্ভিসও।

পুলিশ বলছে, আন্দোলন লোক জড়ো করতে বিক্ষোভকারীরা হোয়াটসআপের ব্যবহারই বেশি করেছে।

হার্দিক পটেলকে গ্রেফতারের পর গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রজনী পটেলের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত হার্দিককে ছেড়ে দেয়া হয়।

নিজেদের ‘অন্যান্য অনগ্রসর জাতি’র অন্তর্ভূক্ত করার দাবি নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকেই আন্দোলনে নেমেছে রাজ্যের পটেল সম্প্রদায়। গুজরাটের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিরই সমর্থক ছিলো তারা। কিন্তু কোটা সংরক্ষণের দাবি রাজ্যের বিজেপি সরকারের সঙ্গে ক্রমশই তাদের দূরত্বের সৃষ্টি করেছে।