চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গার্মেন্টসের পর চাকরিতে অস্থিতিশীলতায় গণমাধ্যম কর্মীরা

সর্বনিম্ন বেতন, চাকরির অনিশ্চয়তা, কাজের পরিবেশের ভিত্তিতে গার্মেন্টেস কর্মীদের পরেই অস্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

কাজের অবস্থানের ভিত্তিতে করা ওই গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৮ সালে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে কাজের অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা এবং কাজের স্থানের নানা রকমের দুর্ঘটনা নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে গার্মেন্টসকর্মীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন।

ওই গবেষণায় পাওয়া ৩৩৪টি কর্মক্ষেত্রকে অস্থিতিশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গবেষণায় গার্মেন্টস সেকশন ১২৩ পয়েন্ট পেয়ে অস্থিতিশীলতার শীর্ষে অবস্থান করছে। এরপরেই রয়েছে গণমাধ্যম। গবেষণায় ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অস্থিতিশীল পেশা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সংবাদ ও মিডিয়াকে। আর ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থান রয়েছে পরিবহন সেক্টর।

২০১৮ সালের ওই গবেষণায় দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে দাবি আদায় এবং অধিকারের জন্য ১৪৮টি দুর্ঘটনা, পাওনা বেতনের দাবিতে ৯০টি, স্থানের দাবিতে ৩৮টি, চাকরি ছাঁটায়ের জন্য ২০টি, নিম্ন মজুরির দাবিতে ১৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

কর্মক্ষেত্রে গতবছরের সার্ভে রিপোর্টে দেখা যায়, বিভিন্ন সেক্টরে মোট ৭৬৪জন কর্মী সহিংসতার শিকার হন। যাদের মধ্যে হত্যার শিকার হন ২৭৯ জন, আহত হন ২৬৩ জন, নিখোঁজ হন ১৭০ জন, আত্মহত্যা করেন ৩১ জন কর্মী। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে মৎস্যজীবীরা। এরপরই ক্ষতির শিকারের অবস্থানে রয়েছে পরিবহন কর্মীরা।

ওই গবেষণা রিপোর্ট বলছে, নারীদের তুলনা পুরুষরা কর্মক্ষেত্রে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ৫৯৩ জন পুরুষকর্মীর মধ্যে ২২৭ জন নিহত, ১৭৩ জন আহত, ১৬৯ জন নিখোঁজ, ১৭ জন আত্মহত্যা করেন। অন্যদিকে ১৬৯ নারীকর্মীদের মধ্যে ৫২জন হত্যার শিকার, ৯০জন আহত, ১৪ আত্মহত্যা করেন।

রিপোর্ট অনুসারে, ১০২০জন কর্মী কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত হয়। নিহত ওই কর্মীদের মধ্যে ১০০২জনই পুরুষ এবং ১৮জন নারী। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ট্রান্সপোর্ট সেক্টরের কর্মীরা।

নিহতের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কনস্ট্রাকশন সেক্টর। তবে এই সেক্টরে কর্মীরা আহত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক খাতে বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ১৩লাখ কর্মী বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারের সংখ্যা প্রায় ০.১ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।