গাজা সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের মিছিলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ও দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।
অতীতে এ বিষয়ে কোনো তদন্ত না চালানোয় জাতিসংঘের সমালোচনা করে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘আর কত ফিলিস্তিনি মরলে আপনারা কোনো ব্যবস্থা নেবেন? তাদের কি এমন মৃত্যু পাওনা ছিল? বাবা-মায়ের কোল থেকে সেই শিশুগুলোকে কি এভাবে ছিনিয়ে নেয়ার কথা ছিল?’
ফিলিস্তিনি দূত ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ উল্লেখ করে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন। হত্যাযজ্ঞের স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক বিচার দাবি করেন তিনি।
মনসুর বলেন, প্রতিবাদী ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এটি ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা।
অন্যদিকে ইসরাইলি দূত ড্যানি ড্যানন গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসকে এ সহিংসতার জন্য দায়ী করে অভিযোগ তোলেন, হামাস বাহিনীই গাজার লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, গাজা উপকূলে যা ঘটেছে তা কোনো বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল না। ছিল সহিংস দাঙ্গা।
‘তারা (হামাস) মানুষকে সহিংসতায় জড়াতে উস্কানি দেয়। যত বেশি সংখ্যক সম্ভব বেসামরিক মানুষকে অস্ত্রের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়, যেন বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হয়। তারপর সব দোষ ইসরায়েলের ওপর চাপিয়ে জাতিসংঘে চলে আসে অভিযোগ করতে। নিষ্পাপ শিশুদের জীবনের বিনিময়ে তারা এক মারাত্মক খেলা খেলছে।’
ড্যানন বলেন, ‘তারা যখন বলে গর্জে ওঠার দিন, তার অর্থ হলো সন্ত্রাসের দিন। প্রত্যাবর্তনের অধিকার মানে ইসরায়েলের ধ্বংস। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অর্থ উস্কানি আর সহিংসতা।’
নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের শুরুতে গত কয়েকদিনে গাজা সীমান্তে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শুধু সোমবার নয়, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে এ পর্যন্ত জীবন দেয়া সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় ওই সময় নীরবতা পালন করে।
এরপর শুরু হয় আলোচনা।
আলোচনায় পর পর কয়েকটি দেশ সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং কিছু কিছু দেশ ঘটনাটির তদন্তও দাবি করে। এরপরই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং পাল্টাপালি অভিযোগে লিপ্ত হয় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল।