চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘এটা প্লাস্টিকের চাল না, নাজিরশাইল চাল’

বিভিন্ন গণমাধ্যমে গাইবান্ধায় প্লাস্টিকের চাল সন্দেহে যে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন: এটা প্লাস্টিকের চাল না, এই চাল নাজিরশাইল চাল। এটি একটি ব্রান্ডের চাল। এই চাল দিয়ে ভাত রান্না করা হয়েছে। আমরা অনেকেই খেয়েও দেখেছি। এটা একটা নরমাল চাল। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি আরও বলেন: গাইবান্ধার চাল সংক্রান্ত বিষয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই। গতকাল সোমবার এক ব্যক্তির অভিযোগ পাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ গিয়ে চালগুলো জব্দ করেছে। অধিকতর নিশ্চয়তার জন্য সেখান থেকে কিছু চাল আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন: আশেপাশের সমস্ত দোকানেই সার্চ করা হয়েছে। কোনো দোকানেই এ রকম কোন কিছু পাওয়া যায়নি। এ সময় জেলা প্রশাসক ওই চাল, চাল ভাজা ও রান্না করা ভাত উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে দেখান। উপস্থিত বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের অনেকেই ওই চাল, চাল ভাজা ও ভাত খেয়ে দেখেন।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারে রুবান দেওয়ান নামের এক মুদি দোকান থেকে শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার রনি মিয়া ৬ কেজি চাল কেনেন। রাতে বাড়িতে ভাত রান্নার পর খেতে স্বাদ না লাগলে তার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরদিন সকালে চালগুলো আসল কিনা বোঝার জন্য পাতিলে ভাঁজা হলে চালগুলো পুড়ে, গলে ও কুঁচকে যাওয়ার অভিযোগ করেন। পরে রনি মিয়া চাল নিয়ে সদর থানায় উপস্থিত হয়ে প্লাস্টিকের চাল সন্দেহে অভিযোগ করলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায়কে জানান।

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন

এরপর ইউএনও উত্তম কুমার রায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করেন। এ সময় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার উপস্থিত ছিলেন।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন: রুবান দেওয়ানের দোকানে ১৫ কেজি চাল ছিল। আমরা এর সবটুকুই সংগ্রহ করে আমাদের কাছে রেখেছি। সেখান থেকে কিছু পরিমাণ চাল সোমবার ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেতে কয়েকদিন সময় লাগবে।