গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা জঙ্গি হামলা বা নাশকতা নয়, এটি একাত্তরে পুতে রাখা মর্টার শেলের বিস্ফোরণ বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিস্ফোরণের সাথে কোন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা বা নাশকতার ঘটানোর পরিকল্পনা ছিলনা। ১৯৭১ সালে বা তার পূর্বের মর্টার সেল ওই বাড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেটি কাটতে গিয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে ঢাকা থেকে যাওয়া এন্টি টেররিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা। বোমা বিশেষজ্ঞ দলটি সকাল ৯টায় তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
বুধবারের বিস্ফোরণে ওই বাড়ির মালিক নিহত বোরহানের মা, ভাবী, স্ত্রীসহ অপর এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃংখলা বাহিনী, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ৪টায় কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামে বোরহানের বাড়িতে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হয়।