জনপ্রিয় তারকা তাহসান খানের ক্যারিয়ারে শততম নাটক ছিলো ‘কল্প তরুর গল্প’। ফারিয়া কবির আভার গল্পে, আকবর হায়দার মুন্নার প্রযোজনায় এটি পরিচালনা করেছেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ। ইউটিউবে নাটকটি প্রকাশের পর হুমড়ি খেয়ে দেখা শুরু করে দর্শক! অল্প সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। এমনকি বাংলাদেশের ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে চলে আসে ‘কল্প তরুর গল্প’।
তাহসানের সঙ্গে শায়লা সাবি অভিনীত নাটকটি ইউটিউব থেকে ইতোমধ্যেই দেখেছে ১৬ লাখের বেশি দর্শক। ওই নাটকের সাফল্য নিয়ে তাহসানের সঙ্গে কথা বলেছেন নাহিয়ান ইমন…
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে সব ক্যাটাগরিতে আপনার শততম নাটকটি শীর্ষে ছিল। কেমন লেগেছে?
ট্রেন্ডের শীর্ষে থাকাটা অনেক আনন্দের তো বটেই। কিন্তু তার চেয়ে বেশি আনন্দের হলো কাজ দেখে মানুষের অনুভূতির কথা যখন পড়ি। যখন দেখি আমাদের পরিশ্রমের ফসল মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটেছে। বছরের পর বছর মানুষ কাজগুলো মনে রেখেছে। আমার শততম কাজটি যখন বেঁচে থাকবে, সেই প্রত্যাশা রাখি।
শুরুতে নাটকটি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল কেমন?
কাজটি যে ভালো হবে তখনই বুঝেছিলাম যখন গল্প পড়েছি। গল্পের প্রেমে পড়লে কাজে প্রেম এমনি এমনি আসে।
অনেক গল্প থেকে বাছাই করে এ গল্পটা নেয়ার কারণ কী ছিল?
শততম কাজটি আমি আমার ভক্তদের জন্য উৎসর্গ করতে চেয়েছি। তাদের কাছ থেকে গল্প নেওয়া। বান্নাহর সাথে কথা বলতে বলতে আমাদের মাথায় এ ভাবনাটা আসে। কিন্তু গল্প বাছাই কঠিন ছিল। ৭০টার মতো গল্প আমার ফ্যান পেজের এডমিন ঊষা সবগুলো পড়ে আমাকে ২৫টির মতো গল্প পাঠায়। আমি সেই ২৫টি পড়ে গল্প ‘কল্প তরুর গল্প’ বাছাই করি।
একজন অভিনেতা, একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে আলাদাভাবে ১০-এর মধ্যে কতো দেবেন?
নিজেই কি নিজের পরীক্ষায় খাতা দেখা যায় নাকি? আমার ভক্তরাই বলবে আমি কত পাবো।
প্রায়ই আপনাকে শহুরে গল্পের নাটকে দেখা যায়। গ্রাম্য চরিত্রে দেখা যায় না কেন?
ভালো গল্প পেলে গ্রামীণ চরিত্রে কাজ করবো। এখনও কোনো পরিচালক ভালো কোনো গ্রামের গল্প আমার কাছে উপস্থাপন করেনি।