গর্ভে ছেলে না মেয়ে নিশ্চিত হতে স্ত্রীর পেট কেটে ফেললো স্বামী
উত্তরপ্রদেশের নিষ্ঠুর এই ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার
ওই দম্পতির ঘরে পাঁচ মেয়ে! কিন্তু এবার স্বামী চাইছেন একটা ছেলে সন্তান। স্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করেই আসছিলেন যেন এবার ছেলে সন্তান প্রসব করা হয়। পাষণ্ড স্বামী ছেলে না কি মেয়ে তা নিশ্চিত হতে কাস্তে দিয়ে স্ত্রীর পেটই কেটে ফেললো। ফলে জন্ম হয় মৃত সন্তানের!
বিবিসি বলছে, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বদাঁয়ু অঞ্চলের ঘটনা এটি।
ভুক্তভোগী মহিলার পরিবারের অভিযোগ, পাষণ্ড স্বামী পান্নালাল গর্ভে থাকা শিশুটি ছেলে নাকি মেয়ে যাচাই করার জন্য স্ত্রীর পেট কেটেছে। তাদের পাঁচ মেয়ে সন্তান রয়েছে। একটি ছেলে সন্তান প্রসবের জন্য স্ত্রীর ওপর নিয়মিত চাপ প্রয়োগ করতো পান্নালাল। নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও চালানো হয় তার ওপর।
উত্তর প্রদেশ পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর গর্ভবতী নারীর অবস্থা নাজুক হলে দ্রুত রাজধানী দিল্লির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন স্থিতিশীল আছেন।
তবে অভিযুক্ত স্বামী এই ঘটনা অস্বীকার করে বলছেন, এটি দুর্ঘটনা ছিলো। তিনি নিজের স্ত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আক্রমণ করেননি। তিনি রেগে গিয়ে কাস্তে ছুঁড়ে মেরেছিলেন। কিন্তু তার জানা ছিলো না যে, এটি এতোটা মারাত্মকভাবে হবে।
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, আমাদের পাঁচ কন্যা আছে। আমার একজন পুত্র সন্তান মারাও গেছে। আমি জানি, শিশুরা সৃষ্টিকর্তার দান। এখন যা ঘটার ঘটবে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পরিচালনা করছে।
ভারতের পরিবারগুলোতে কন্যা সন্তানের পরিবর্তে পুত্র সন্তান জন্মদানকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। কন্যাদের প্রতি মারাত্মক নেতিবাচক মনোভাব ধারণ করা হয়।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের জুনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে ভারত থেকে প্রায় ৪৬ মিলিয়ন মেয়ে নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। প্রতি বছর গর্ভপাত ও অবহেলার কারণে ৪ লাখ ৬০ হাজার কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয় ভারতে।