জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, আমরা তথ্য
নিয়ে বার বার বিভ্রান্ত হই। তাই তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে বেশি সচেতন হবে। কোন তথ্য প্রচারের পিছনে কোন বিশেষ মহলের স্বার্থ আছে কিনা খতিয়ে দেখা উচিত। আর এতে মিডিয়ার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘শিশু পাচার দমন ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
মিজানুর রহমান আরো বলেন, দেশে শুধুমাত্র আদালত অবমাননার মামলা ছাড়া আর অন্য কোন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় না। এখনও ধনীদের পক্ষেই রাষ্ট্রব্যবস্থা।
সেমিনারে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশ থেকে গেল ১০ বছরে ১২ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশী নারী ও শিশু বিভিন্ন ভাবে পাচার হয়েছে। আর প্রতি মাসে প্রায় ৪০০ জন নারী ও শিশু বিভিন্নভাবে পাচারের শিকার হচ্ছে।
পাকিস্তানে প্রকাশিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে সেমিনারে আরো বলা হয়, সম্প্রতি সেদেশে প্রায় ৩ লক্ষাধিক নারী বিক্রি ও পাচারের শিকার হয়েছে।
এ ধরণের পরিসংখ্যান অত্যন্ত উদ্বেগজনক উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র নারী ও শিশু পাচার রোধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রে কার্যকর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি ।
সেমিনারে নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও শিশু পাচারের ভয়াবহতার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের সাথে সমুদ্র অরক্ষিত সীমানা ব্যবহার করে পাচারকারীচক্র সক্রিয় রয়েছে।