১৯ জুলাই থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রবীন্দ্রসংগীতের জনপ্রিয় মুখ মিতা হক। প্রথমে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাখা হয় আইসিইউতে এবং পরবর্তীতে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এমনটাই জানালেন তার মেয়ে ও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ফারহীন খান জয়ীতা।
৩ বছর ধরে ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন মা (মিতা হক)। সবশেষ ১৮ জুলাই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। পরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। পরদিন ১৯ জুলাই তার অবস্থা বেশ গুরুতর হওয়ায় কয়েকদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। বর্তমানে অবস্থা ভালো হওয়ায় তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। বলছিলেন তার মেয়ে।
মায়ের অসুস্থতার খবর জানিয়ে জয়িতা আরো বলেন, গত কয়েক দিন আমরা ভয়াবহ খারাপ সময় পার করেছি। মায়ের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে শিফট করা হয়েছে। এটা আপাতত ভালো খবর।
এই সময়ে মিতা হকের প্রচুর বিশ্রাম দরকার বলেও জানান জয়িতা। বলেন, এখন ভালো আছে। আসলে এটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন,সেটা হল সব মিলিয়ে সি ইজ অ্যা ক্রিটিক্যাল পেশেন্ট। মায়ের ইনফেকশনটা পুরোপুরি যেতে সময় লাগবে। তার প্রচুর রেস্ট দরকার এবং কোনো ভাবেই এই ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ জায়গা নেই। সবার কাছে অনুরোধ এই সময়টায় আপনারা যারা তার জন্য দুশ্চিন্তা করছেন তারা তার জন্য শুভাশীষ দিন,আপনাদের প্রার্থনায় মা কে রাখুন। সেটা জরুরী। কিন্তু আপাতত তাকে দেখতে আসা জরুরী নয়। ভিজিটর একেবারেই নিষেধ।
দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী মিতা হক অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক। তার মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। এছাড়াও মিতা হক বিভিন্ন সময়ে জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন, ছায়ানটসহ বেশ কিছু সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। গেল বছরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মজয়ন্তীতে ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা ২০১৭’-তে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী হিসেবে আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।