গতির সঙ্গে বৈচিত্র্য। কখনও বল ভেতরে ঢুকছে কখনও বেরিয়ে যাচ্ছে। আর সেটি বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শুরুর ব্যাটিং বির্পযয়ে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ার চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে কঠিন থেকে কঠিনতর।
ডানেডিনে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ৬১ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ৫ উইকেট। কিউই পেসার টিম সাউদি তার প্রথম ২ ওভারেই সাজঘরে পাঠিয়ে দেন তামিম ইকবাল (০), সৌম্য সরকার (০) ও লিটন দাসকে (১)।
মাত্র ২ রান তুলতে তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। খানিকটা থিতু হয়ে মুশফিক সাজঘরে ফিরে যান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৩৮ রান।
ট্রেন্ট বোল্টের বলে কলিন মুনরোর হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে পাঁজরের চোট নিয়ে খেলা মুশফিক করেন ১৭ রান। ২৭ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চারের মার।
সাব্বির রহমানের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম জুটিটি ২১ রানের। কলিন গ্র্যান্ডহোমের বলে মুনরোর হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেন ১৬ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিলেও ছিলেন বেশ খরুচে। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৩ রান।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এমন কঠিন দিন আগে আসেনি এ বাঁহাতি পেসারের সামনে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্ডটি শফিউল ইসলামের। এ ডানহাতি পেসার ২০১০ সালে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে দিয়েছিলেন ৯৭।
১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিয়েছেন একটি উইকেট। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৯ ওভারে ৪৩, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ১০ ওভারে ৫১, রুবেল হোসেন ৯ ওভারে ৬৪ রান দিয়েছেন। প্রত্যেকেই শিকার করেছেন একটি করে উইকেট। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২ ওভার বোলিং করে দেন ২৮ রান।
এক ম্যাচ আগে সিরিজ জিতে নেওয়া নিউজিল্যান্ড তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পায়। শুরুতেই কলিন মুনরোকে (৮) এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন মাশরাফী। দলীয় ফিফটি পেরিয়ে সাইফউদ্দিনের বলে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন মার্টিন গাপটিল। এ ডানহাতি ওপেনার ২৯ রান করেন ৪০ বল খেলে।
হেনরি নিকোলস ও রস টেলরের মাঝে গড়ে ওঠে ৯২ রানের দারুণ একটি জুটি। দলীয় দেড়শ পার করে মিরাজের বলে তামিমের ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন নিকোলস। এ বাঁহাতি করেন ৭৪ বলে ৬৪ রান। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার।
দুইশ পার করে রুবেলের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন টেলর। এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেন কিউইদের সর্বোচ্চ ৬৯ রান। ৮২ বলের ইনিংসে চার মারেন ৭টি।
জেমস নিশাম ২৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে কিউইদের রান তোলার গতি বাড়িয়ে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হন। ল্যাথাম সাজঘরে ফেরেন দলীয় রান তিনশর কাছাকাছি রেখে। ফিজের দ্বিতীয় শিকার হওয়া এ ব্যাটসম্যান ৫১ বলে করেন ৫৯ রান। হাঁকান ২টি চার ও ৩টি ছক্কা।
কলিন গ্র্যান্ডহোমের ১৫ বলে ৩৭ ও মিশেল স্যান্টেনারের ৯ বলে ১৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩৩০ রানের বিশাল পুঁজি পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দুই ব্যাটসম্যানই থাকেন অপরাজিত।