গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ছাত্রী হোস্টেলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুরে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইটে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানায়, শুক্রবার কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড এর কিছু সন্ত্রাসী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ঢুকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে ভাংচুর ও লুটপাটের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রস্থ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ছাত্রী হোস্টেলে হামলা করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের হোস্টেল থেকে বের করে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং ছাত্রীদের বইখাতা ও শিক্ষা উপকরণ নষ্ট করে দেয়। এ কারণে কিছু ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
মানববন্ধনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের কোষাধ্যক্ষ খাদিজা আক্তার সেতু ও ছাত্র সংসদের উপদেষ্টা মীর মুর্ত্তজা আলী বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ছাত্রীনিবাসে এ ধরণের হামলার নিন্দা ও হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বীরউত্তম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. নাজিম উদ্দিন শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বীরউত্তম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। এসময় তিনি গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
পরে তিনি পিএইচএ ভবনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। পিএইচএ এলাকায় সন্ত্রাসীদের গাছ কেটে নেয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ নষ্ট করা ও গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা কারো কাম্য হতে পারে না।