চ্যানেল আই’র ২২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছাবাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, গণমাধ্যম জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম সময়ের কথা বলে, অতীতের সাথে বর্তমানের যোগসূত্র স্থাপন করে এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে পথ দেখায়।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই’র দর্শক, কলাকুশলী, শুভানুধ্যায়ীসহ চ্যানেল আই পরিবারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, গণমাধ্যম জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম সময়ের কথা বলে, অতীতের সাথে বর্তমানের যোগসূত্র স্থাপন করে এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে পথ দেখায়। গণমানুষের বঞ্চনা ও চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের গঠনমূলক সমালোচনা, গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনমত গঠনের মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনায় ইতিবাচক অবদান রাখে।
‘অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে দেশের গণমাধ্যমসমূহ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি আশা করি গণমাধ্যমসমূহ দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে অধিকতর দায়িত্বশীলতার সাথে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন: প্রতিষ্ঠার পর হতে চ্যানেল আই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করে আসছে। বিশেষ করে কৃষি উন্নয়ন তথা গ্রামনির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অগ্রযাত্রায় চ্যানেল আই’র প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। এছাড়া পরিবেশ ও প্রকৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নেও চ্যানেলটি কাজ করে যাচ্ছে।
‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, নির্মল বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে চ্যানেল আই অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাবে- এ প্রত্যাশা করছি।’
বাণীতে চ্যানেল আই’র উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।